
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বীরভূমের রামপুরহাট (Rampurhat Fire)। গতকাল গভীর রাতে সেখানে ভয়ঙ্কর হত্যালীলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান খুনের পর একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায়, শিশু-মহিলা-সহ মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ঠিক কী হয়েছিল গতকাল গভীর রাতে? সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাই জানিয়েছেন আক্রান্তরা।
আরও পড়ুনঃ সন্ত্রাসের আতঙ্কে কাঁটা রামপুরহাট, তড়িঘড়ি গ্রাম ছাড়ছে নিহত ভাদুর পরিবার
রামপুরহাট অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর জখম নাজিমা বিবি জানিয়েছেন, “আমরা ১০ জন ছিলাম। তার মধ্যে দুটো বাচ্চা, পাঁচ-ছয়জন মেয়ে ছিল। সদর দরজা বন্ধ করে তালাও দেওয়া হয়েছিল। তারপরই ওরা বোম ফেলে। আগুন লাগাবে জানলে আগেই পালাতাম। পেট্রল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হু হু করে জ্বলতে জ্বলতে একেবারে দোকান-ঘর সব পুড়ে গেল।’
উল্লেখ্য, সোমবার বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ! তারপরই এলাকায় শুরু হয় তাণ্ডব। আগুন লাগানো হয় একের পর এক বাড়িতে। শেষ অবধি তৃণমূলের উপপ্রধান খুনে অভিযুক্ত সোনা শেখের আত্মীয়ের বাড়িতেই ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন।
আরও পড়ুনঃ ‘ভাদুকে নিয়ে যারা হসপিটালে ছুটল, তাদেরই ধরল পুলিশ! কবরে মাটি দেব কী করে’, বলছেন স্ত্রী
জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের। বেঘোরে প্রাণ হারান নিরীহ মহিলা-শিশুরা। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া খুশি খাতুন জানান, “আমরা সবাই ঘরে ছিলাম। পেট্রল এনে ঘর জ্বালিয়ে দেয়। আমি বেঁচে গেলাম, আমরা বোন-ভাই বেঁচে আছি। আমার ছোট ছোট ভাই-বোন সব মারা গেছে। আমাদের পরিবারের কেউ বেঁচে নেই, খালি আমার কাকী ও মা বেঁচে আছে। তাঁদেরও খারাপ অবস্থা।”
অনুব্রত-গড় বীরভূমের বুকে এই নারকীয় হত্যালীলা কে বা কারা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অবশ্য এই ঘটনায় এখনও অবধি বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে সোমবার থেকে বীরভূমের বুকে ঘটে চলা একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘিরে রীতিমত ফুটছে বঙ্গ রাজনীতি।