Latest News

কৌতুকের ছলে রামায়ণ অবমাননার অভিযোগ, ক্ষমা চাইলেন এইমসের পড়ুয়ারা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মজার মোড়কে মুড়ে রামলীলার (Ramleela) নাট্যরূপ অভিনয় করেছিলেন এইমস হাসপাতালের ছাত্রছাত্রীরা। তার কিছু ক্লিপিংস ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ ওঠে, হিন্দু পুরাণকে বিকৃত করেছেন তাঁরা। এর ফলে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে বহু মানুষের। ক্রমাগত অভিযোগ ও আপত্তির জেরে শেষমেশ ক্ষমা চাইল ছাত্র সংগঠন। তারা জানিয়েছে, কারও অনুভূতিকে আঘাত করার জন্য এ কাজ করেনি তারা। ভবিষ্যতে কখনও এমনটা হবে না।

বিপ্লবের লেখা বই পড়তে হবে ত্রিপুরার স্কুল ছাত্রদের, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষা

ওই ছাত্র সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এইমসের পড়ুয়াদের নির্মিত রামলীলা নাটকের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ছাত্রদের তরফে আমরা ক্ষমা চাইছি এই নাটকের জন্য। যদিও আমরা কাউকে আঘাত করার উদ্দেশে এটা করিনি, ভবিষ্যতে আর কখনও এমনটা হবে না।”

কী রয়েছে ওই ভিডিও ক্লিপে?

দেখা যাচ্ছে, রামায়ণের কাহিনিকেই আধুনিক ভাবে পরিবেশন করার চেষ্টা করেছেন পড়ুয়ারা। সেখানে শূর্পনখা লক্ষ্মণকে দেখে গাইছেন, ‘তু চিজ় বড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত!’ এর পর যখন শূর্পনখার নাক কেটে নিলেন লক্ষ্মণ, তখন শূর্পনখা বলেন, “তুই জানিস না, আমার ভাই কে!”

দেখুন সেই ক্লিপিং।

প্রতিটা ডায়ালগেই হেসে গড়িয়ে পড়েছেন সকলে, সে শব্দও শোনা যাচ্ছে ভিডিওয়। এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পড়ুয়া শোয়েব আফতাবের নির্দেশনায় নির্মিত এই নাটকের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হতে শুরু করার পর থেকেই অভিযোগ উঠতে থাকে, মজার ছলে করলেও পড়ুয়ারা আসলে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করতে চেয়েছেন। সূত্রের খবর, একটি এডুকেশন অ্যাপও এই নাটককে স্পনসর করে। শোয়েব এবং ওই অ্যাপ আগেও নানা রকম সমালোচনার শিকার হয়েছে।

সোস্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়, শোয়েব আফতাব একজন মুসলিম হয়ে এই কাজ করেছেন, তা যাও বা মেনে নেওয়া যায়, অন্য হিন্দু পড়ুয়ারা অভিনয় করতে রাজি হলেন কী করে!

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’

এই ঘটনায় রাজনীতির রং জড়াতে বেশি সময় লাগেনি। বিজেপির মুখপাত্র সুরেশ নাখুয়া বলেন, “এই প্রথম নয়, শোয়েব এর আগেও হিন্দু দেবদেবীদের অবমাননা করেছে। ভিডিওটা সরানো হয়েছে। আফতাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”

ঘটনার পরে নিতিন সিংঘল নামের এক তরুণের ভিডিও সামনে আসে। তিনি জানান, ওই রামলীলায় অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন অনেককে আঘাত করার জন্য এবং বলেন, “এইমস-কে হিন্দু-বিরোধী বলা হচ্ছে, কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। আমরা গণেশ চতুর্থী, জন্মাষ্টমী– সবই পালন করি। এখানকার বেশিরভাগ পড়ুয়াই হিন্দু। এর পরেও সম্প্রতি যা ঘটেছে তার জন্য আমরা লজ্জিত।”

You might also like