
অশোক মালহোত্রা
এবারের মতো চেন্নাইয়ের আইপিএল অভিযান শেষ হয়ে গেল। বাকি হয়তো এখনও ম্যাচ রয়েছে, কিন্তু সেই ম্যাচ জিতলেও কোনও লাভ হবে না। বরং এখনই দেশে ফেরার বিমানের টিকিট কেটে রাখতে পারে এম এস ধোনির দল।
সোমবার আবুধাবিতে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে সাত উইকেটে হেরে ধোনিরা প্রমাণ করল বৃদ্ধাশ্রমের ক্রিকেটারদের দিয়ে আর যাই হোক আইপিএল জেতা যায় না। তারা হয়তো তিনবার আইপিএল জিতেছে, ফাইনাল খেলেছে মোট ৮বার। কিন্তু যে কোনও একটা দলের অন্তবর্তীকালীন সময় যায়, সেটি দিয়ে অতিবাহিত হয় সব দলই, কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংস ভবিষ্যতের জন্য কোনও দলগঠনই সারেনি। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে।
না হলে চেন্নাইয়ের মতো একটা হেভিওয়েট দল ২০ ওভারে ১২৫ রান তোলে। কী করে এমন খেলল, কারোর মাথাতেই আসবে না। ধোনি হয়তো স্যামসমের একটা ক্যাচ দুরন্তভাবে এক হাতে নিয়েছে, কিন্ত তাতে কিছুই ঢাকছে না। আমরা ধোনির মতো কিংবদন্তিকে ভালবাসি, আমরা চাই তিনি যতদিন খেলবেন, ততদিন আমাদের আনন্দ দিয়ে যাবেন।
সত্যি কথা বলতে ধোনির খেলা দেখে আনন্দ হচ্ছে না, বরং একটা কেমন সঙ্কোচ বোধ হচ্ছে। আর ভাবছি এই কী সেই আমাদের এম এস ধোনি? অতীতের ছায়াও নয় ব্যাটিংয়ে, টাইমিং ঠিকমতো হচ্ছে না। খুব মন্থর, রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস সেই মানের নয়। অযথা বল নষ্ট করে দলের রানের গতিকে স্লথ করে দিয়ে গিয়েছে।
১০ ওভারের মধ্যে ৫৬ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়ের। তারপর দলের নেতা হিসেবে যেভাবে হাল ধরার কথা ছিল, এম এস পারেননি। তিনি না পারলে কে পারবেন! ধোনি ও জাদেজার (৩০ বলে ৩৫) জুটি কাজে আসেনি। ওয়াটসন (৮), ডু প্লেসি (১০), রায়ডু (১৩) রান না করলে চেন্নাইকে টানবে কে? জানা নেই উত্তর।
সেদিক থেকে রাজস্থান দলে রাজার মতো খেলে গেল জস বাটলার। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৮ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে গিয়েছে, যার মধ্যে সাতটি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা রয়েছে। তাদেরও তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল ২৮ রানের মধ্যে, তারপরেও ১৫ বল আগে খেলা শেষ করতে পেরেছে দলের নেতা স্মিথ (২৬) ও বাটলারের কারণেই।
ধোনিরা ১০ ম্যাচ খেলে ছয় পয়েন্টে তালিকায় সবার শেষে। দলের এমন হালের মধ্যে দলনায়কের করুণ দশা দেখে সত্যিই মনটা বিষাদে পূর্ণ। বলতেই হবে, এবার ছাড়ার সময় এসেছে মাহির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : চেন্নাই সুপার কিংস ২০ ওভারে ১২৫/৫। জাদেজা ৩৫, ধোনি ২৮। রাজস্থান রয়্যালস ১৭.৩ ওভারে ১২৬/৩। বাটলার ৭০ অপরাঃ, স্মিথ ২৬।
রাজস্থান জয়ী সাত উইকেটে। ম্যাচের সেরা : জস বাটলার।