
জোহানেসবার্গ হল ভারতীয় দলের কাছে পয়মন্ত মাঠ। সেই মাঠে নামার আগে ভাবাচ্ছে জো বার্গের আকাশের আগাম অবস্থা। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী চারদিন বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
ম্যাচের প্রথম দিন মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে এবং কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দ্বিতীয় দিন থেকে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। চারদিনই মাঠে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় কতটা খেলা সম্ভব, সেই নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে মোট ৫টি ম্যাচ খেলেছে, তাতে একটিতেও হার নেই। এর মধ্যে দল দু’টি ম্যাচ জিতেছে এবং বাকি তিনটিতে ম্যাচ ড্রয়ে শেষ হয়েছে।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং চেতেশ্বর পূজারার কাছেও এটি পয়া মাঠ। কোহলি দুই টেস্ট ম্যাচ খেলে চার ইনিংসে এখানে একটি সেঞ্চুরি এবং দুইটি অর্ধশতরানসহ ৭৭-র অধিক গড় নিয়ে মোট ৩১০ রান করেছেন। সেখানে পূজারার দুই ম্যাচে মোট রানের সংখ্যা ২২৯, গড় ৫৭.২৫। সেক্ষেত্রে অফ ফর্মে থাকা দুই মহাতারকাকে আশা জোগাতে পারে এই মাঠ। ৭ রান করলেই টপকে যাবেন জন রিডের সর্বোচ্চ ৩১৬ রানকে।
২০১৩ সালে প্রোটিয়া সফরে প্রথম ইনিংসে ১১৯ রান করেছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৯৬। সে বার জোহানেসবার্গের টেস্ট অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছিল। ২০১৮ সালে প্রথম ইনিংসে ৫৪ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ রান করেছিলেন বিরাট। ওই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় ভারত।
একই সঙ্গে বিরাটের সামনে আরও একটি রেকর্ডের হাতছানি। ওয়ান্ডারার্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেই স্টিভ ওয়ার ৪১ টেস্ট জয়ের রেকর্ডকে ছুঁয়ে ফেলবেন ক্যাপ্টেন কোহলি। ৬৭ টেস্টে ইতিমধ্যেই ৪০টি টেস্ট জিতেছেন বিরাট। এশিয়ার একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরিয়নে টেস্ট জয়ের রেকর্ডও তাঁর দখলে। জো’বার্গ টেস্ট জিতে এ বার স্টিভের সঙ্গে এক আসনে বসতে চান তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ভারতীয় হিসেবে সর্বোচ্চ রান শচীন তেন্ডুলকারের, তিনি করেছেন ১৫টি টেস্ট ম্যাচে ১১৬১ রান, তারপরে রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়, তাঁর সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ৬২৪, তাঁর পিছনেই রয়েছেন কোহলি, তিনি মাত্র ছয়টি ম্যাচে ৬১১ রান করেছেন, আর দরকার ১৪ রান, তা হলেই দ্বিতীয়তে চলে আসবেন।