
হায়দরাবাদের মেদচল ময়দানে এদিন জনসভা করেন সোনিয়া। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে তেলেঙ্গানার অবস্থা খারাপ হয়েছে। আগে অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে আমি বলতাম, উন্নয়নের জন্য তেলেঙ্গানা মডেল অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু এখন আর সেকথা বলা যায় না। দুঃখের বিষয় হল, এই সরকারের আমলে তেলেঙ্গানা দুই পা পিছিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তেলেঙ্গানা যাতে স্পেশ্যাল ক্যাটেগরির রাজ্যের মর্যাদা পায়, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করবে।
এদিনের সভায় সোনিয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের জোটসঙ্গী তেলুগু দেশম, তেলেঙ্গানা জন সমিতি এবং সিপিআইয়ের নেতারা।
সোনিয়ার দাবি, তাঁর দল জানত, অন্ধ্রপ্রদেশকে ভেঙে পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরি হলে ভোটে ফল খারাপ হবে। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাই ঘটুক, তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরি করতেই হবে।
কে চন্দ্রশেখর রাও দাবি করেন, তাঁর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলেই পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরি হয়েছে। সেই প্রচারের ধার ভোঁতা করে দেওয়ার জন্যই জনসভা করেন সোনিয়া। দীর্ঘদিন বাদে তাঁকে কোনও নির্বাচনী জনসভায় দেখা গেল। তিনি বলেন, রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে কৃষকদের আত্মহত্যার খবর আসছে। কৃষিতে জলের অভাব তীব্র। সরকার জমি অধিগ্রহণ আইন কার্যকর করেনি। ইউপিএ সরকারের আমলে গ্রামীণ কর্মযোজনা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। কিন্তু চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারের আমলে এরাজ্যের মানুষ তার পুরো সুবিধা পাননি।
রাহুল গান্ধী ভাষণে বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে মাত্র একজনই রাজ্যে শাসন চালিয়েছেন। তাঁর যখন যা মনে হয়েছে, তাই করেছেন। নিজের পরিবার ছাড়া আর কারও স্বার্থ দেখেননি। আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, দলিত, উপজাতি ও অন্যান্য পশ্চাৎপদ শ্রেণির উন্নতির জন্য যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা কি পূরণ করা হয়েছে?
কংগ্রেসের আশা, তেলুগু দেশমের সঙ্গে জোট বেঁধে তারা রাজ্যে শাসক তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিকে হারিয়ে দিতে পারবে। কারণ ২০১৪ সালের ভোটে দেখা গিয়েছিল, টিআরএসের প্রাপ্ত ভোট ৩৪.৩ শতাংশ। কংগ্রেস পেয়েছে ২৫.২ ও টিডিপি পেয়েছে ১৪.৭ শতাংশ ভোট।