
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে বিজেপি সরকার। বিপুল পরিমাণ পুঁজি কেন্দ্রীভূত হচ্ছে একই জায়গায়। তারা সংবাদ মাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। লন্ডনে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul)। তাঁর কথায়, “আমার মতে, কোনও একটি কোম্পানি যদি প্রতিটি বিমান বন্দর, জাহাজ বন্দর ও অন্যান্য পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে, তাহলে খুবই বিপজ্জনক অবস্থা সৃষ্টি হয়।”
পরে তিনি বলেন, আমি মনে করি না কংগ্রেস অন্যান্য বিরোধী দলের চেয়ে ভাল। কংগ্রেস কোনও ‘বিগ ড্যাডি’ নয়। কিছুদিন আগে উদয়পুরে দলের চিন্তন শিবিরে রাহুল বলেছিলেন, একমাত্র কংগ্রেসই বিজেপির মোকাবিলা করতে পারে। কারণ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কোনও মতাদর্শ নেই। তারা সর্বভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু চিন্তাও করতে পারে না। ওই মন্তব্যের ফলে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল অসন্তুষ্ট হয়। কিন্তু বিদেশে গিয়ে রাহুল এর বিপরীত মন্তব্য করেছেন বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি (Rahul) বলেন, “আগে কখনই বেসরকারি কোম্পানি একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ পায়নি। বিপুল পরিমাণে ক্ষমতা ও পুঁজি একই জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নানা স্তরে আলাপ-আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে।”
বিজেপির বিরুদ্ধে রাহুলের (Rahul) অভিযোগ, “ওই দলটি সারা দেশে কেরোসিন ছড়াচ্ছে। একটা মাত্র ফুলকি এখন বিরাট সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিরোধী হিসাবে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। বৃহৎ সংখ্যক মানুষ, সম্প্রদায় এবং ধর্মের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে হৃদ্যতার সম্পর্ক।”
পরে তিনি বলেন, “আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। না হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।” রাহুলের মতে, ভারতে দু’ধরনের সরকারের মডেল আছে। এক ধরনের সরকার মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায়। আর এক ধরনের সরকার সকলের কথা মন দিয়ে শোনে।
তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, “দয়া করে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করুন। বিজেপি মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায়। তাদের কর্মীরা মানুষকে বলে, তোমরা আমাদের মনোমত কথা ছাড়া কিছু বলতে পারবে না। তারা এক ধরনের মতাদর্শ প্রচার করতে চায়।”
আরও পড়ুন : ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ব্রাত্যকে চিঠি শিক্ষকদের