
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Yatra)-র প্রাথমিক লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল। এই মুহূর্তে রাহুলরা হাঁটছেন তেলেঙ্গানায়। দক্ষিণের যে পাঁচ রাজ্য রাহুল হেঁটেছেন তার মধ্যে কেরল ও কর্নাটকে কংগ্রেসের যথেষ্ট শক্তি আছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, তেলেঙ্গানায় বিপুল সাড়া ফেলেছে ‘ভারত জোড়ো’ অভিযান। যা দেশে শাসক দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি এবং আর এক বিরোধী দল বিজেপি রীতিমত বিস্মিত। ভিড় দেখে উৎসাহিত কংগ্রেস নেতৃত্ব গতকাল রাহুলকে দিয়ে দীর্ঘ সাংবাদিক সম্মেলন করায়। সেখানে গুজরাত, হিমাচলের বিধানসভা ভোট, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন, ওবিসি সংরক্ষণের মতো বহু বিষয়ে নিজের কথা জানান রাহুল।
সেখানেই রাহুল জানান, তাঁর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় বেরনোর পরিকল্পনা ছিল ২০২০-র গোড়ায়। কিন্তু করোনা চলে আসায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সনিয়া পুত্রের কথায় স্পষ্ট, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই তিনি ভারত যাত্রায় বেরনোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ঘটনাচক্রে যে সময় তিনি অভিযানে বেরিয়েছেন, তখন আবার তাঁকেই বারে বারে দল সভাপতির দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করে। কিন্তু তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন।
রাহুলের এই ঘোষণার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য মেনে নিয়েও অনেকেই বলেছেন, এটা বিলম্বিত পদক্ষেপ। আরও আগেই এই অভিযান শুরু করা উচিত ছিল। রাহুল কংগ্রেসের সেই শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশেই তাঁর আগের পরিকল্পনার কথা খোলসা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাহুল সাংবাদিক সম্মেলনে আরও একটি নতুন কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতিতে (politics) আসার আগেই তাঁর স্বপ্ন ছিল হেঁটে হেঁটে দেশের নানা প্রান্তে যাওয়া। কুড়ি-পঁচিশ বছর বয়সের সেই ভাবনা নানা কারণে বাস্তবায়িত করা যায়নি।
রাহুল বলেন, তাঁর অভিযানের প্রধান লক্ষ্য, বিজেপি ও আরএসএসের বিভেদের রাজনীতির মুখোশ খুলে দেওয়া। তাদের ঘৃণার রাজনীতি দেশ বিরোধী কার্যকলাপের সামিল, দাবি কংগ্রেস নেতার। কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, আরএসএস-বিজেপির ভাবনা ভারতের ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতির পরিপন্থী।
ক্যাম্পাসে আত্মহত্যা: পড়ার চাপ কমাতে ডিপ্লোমা চালুর ভাবনা আইআইটি’র