
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক চলছে দেশজুড়ে। তার পিছুপিছু দানা বেঁধেছে মথুরার ইদগাহ মসজিদ বিতর্ক। দু’জায়গাতেই হিন্দুত্ববাদীদের তরফে দাবি তোলা হয়েছে, হিন্দু ঈশ্বরের নিদর্শন ছিল। এবার বিতর্ক শুরু হল দিল্লির বিখ্যাত স্থাপত্য কুতুব মিনার (Qutub Minar) নিয়েও!
বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি করা হয়েছিল, মুঘলযুগে কুতুবুদ্দিন আইবকের আমলে তৈরি হয়নি কুতুব মিনার, এটি আসলে হিন্দুরাজা বিক্রমাদিত্য তৈরি করিয়েছিলেন। এএসআইয়ের প্রাক্তন আঞ্চলিক নির্দেশক ধর্মবীর শর্মা এ কথা জানান।
এর পরেই কেন্দ্রীয় সস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ এএসআই-কে বিষটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়।
শনিবার সংস্কৃতি সচিব গোবিন্দমোহন তিন জন ইতিহাসবিদ, এএসআইয়ের চার আধিকারিক এবং কয়েকজন গবেষককে নিয়ে কুতুব মিনার (Qutub Minar) চত্বর ঘুরে দেখেন। এর পরেই এএসআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, খনন করে দেখে সমীক্ষার রিপোর্ট মন্ত্রককে জমা দেওয়ার জন্য।
তবে কুতুব মিনার নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনশল দাবি করেছিলেন, কুতুব মিনারের প্রকৃত নাম নাকি বিষ্ণু স্তম্ভ। ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দিরের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এই মিনার গড়া হয়েছে। মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করার দাবি জানিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন গোষ্ঠী বিক্ষোভও দেখিয়েছিল।
এবার ফের উস্কে উঠেছে বিতর্ক। তবে এবার আর বিষ্ণু স্তম্ভ নয়, কুতুব মিনারের (Qutub Minar) সঙ্গে বিক্রমাদিত্যকে জুড়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। মিনারের দক্ষিণ অংশে মসজিদ থেকে ১৫ মিটার দূরে এএসআই খনন কাজ শুরু করবে খুব তাড়াতাড়ি। তারা কী রিপোর্ট দেয়, সেটিই এখন দেখার।
এভারেস্টের শেষ ৪০০ মিটার! সামিট হলেও, অক্সিজেন-বিহীন রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন অধরা পিয়ালীর