
তবে দু’কিলোমিটার বিস্তৃত এই রাস্তায় নেই কোনও আলোর ব্যবস্থা। ফলে সন্ধ্যা নামলেই ঘন অন্ধকারে ডুবে থাকে সে জলাধারের রাস্তা। সন্ধ্যার অন্ধকার নামার পরে জলাধারের জলেও নেমে আসে আঁধার। স্থানীয়রা বলেন, অন্ধকারে জলের বুকে আলো ঠিকরে পড়লে সৌন্দর্যই দ্বিগুণ হয়ে যেত।
দেখুন ভিডিও:
প্রশাসনের অবশ্য তাতে কোনও হেলদোল নেই। তাই সময়ের পর সময় পেরিয়ে যায় কিন্তু জলাধারের রাস্তায় বসানো হয়নি কোনও আলো। জলাধারের ফেন্সিংয়ের কাজও রয়েছে অর্ধসমাপ্ত। শুধুমাত্র পিলার বসিয়েই ফেলে রেখেছে প্রশাসন।
এলাকার সাধারণ মানুষ চাইছেন, যদি ফুটিয়ারী জলাধার ঘিরে আরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তাহলে এলাকার আর্থসামাজিক কাঠামোরও পরিবর্তন হবে। বেসরকারি উদ্যোগে অবশ্য জলাধারের একপাশে গড়ে উঠছে বেশ কিছু রিসর্ট। সেই রিসর্ট কর্তৃপক্ষেরও দাবি, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ফুটিয়ারী জলাধারকে ঘিরে এক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলুক প্রশাসন। আগে এখানে থাকার জায়গা ছিল না। এখন থাকার জায়গা হচ্ছে। কিন্তু আলোর ব্যবস্থা না করলে মানুষজন সেখানে কীভাবে থাকবেন! সন্ধ্যের পর সেখানকার পর্যটকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
সাধারণ মানুষও দাবি করেছেন, দ্রুত আলোর ব্যবস্থা করা হোক, রাস্তাঘাটের উন্নতি করা হোক। এখন সবাই অপেক্ষায় রয়েছেন আগামী পর্যটন বর্ষে ফুটিয়ারী জলাধারে পর্যটকদের ঢেউ নামবে।