
নাগাল্যান্ডে নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন নামে এক প্রভাবশালী সংগঠন দাবি জানিয়েছে, রাজ্য সরকারকে পরিষ্কার জানাতে হবে, তারা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে না বিপক্ষে। ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সরকার নাগরিকত্ব বিল নিয়ে নানা পরস্পরবিরোধী বিবৃতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।
মণিপুরে পাঁচটি নাগরিক সংগঠন যৌথভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছে। মিজোরামে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করুন। পিপলস রিপ্রেজেন্টেশন ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড স্ট্যাটাস অব মিজোরাম নামে এক প্রভাবশালী সংগঠনও জানিয়েছে, তারা প্রজাতন্ত্র দিবসের কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না।
বুধবার আইজলে ভারতবিরোধী একটি সভা হয়েছে। শহরের নানা প্রান্তে দেখা গিয়েছে ভারতবিরোধী প্ল্যাকার্ড। আগে মিজোরামে জঙ্গি সংগঠনগুলি যখন সক্রিয় ছিল, তখন এমন পোস্টার দেখা যেত। সেগুলি ফের দেখা যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের।
গত ৮ জানুয়ারি লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়। তাতে বলা হয়েছে, তিনটি প্রতিবেশী দেশ থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীরা দ্রুত ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। উত্তর-পূর্বের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এর ফলে অনুপ্রবেশে উৎসাহ পাবে বিরোধীরা। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের বক্তব্য, শরণার্থীদের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করা ঠিক নয়।
এর আগে উত্তর পূর্বের কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে গিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করা হোক। না হলে তাঁদের এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি হবে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে দেখা করে বলেন, উত্তর পূর্বে বিজেপির সব শরিক দলই ওই বিলের বিরোধী। সাংমার দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এবং জোরামথাঙ্গার মিজো পিপলস ফ্রন্ট উভয়েই বিজেপির শরিক। তাদের বক্তব্য, ওই বিল উত্তর-পূর্ব ভারতের সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। এমনকী উত্তর পূর্বের কয়েকজন বিজেপি নেতাও ওই বিলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।