
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সমাবেশে উপস্থিত এক সমাজকর্মী বলেন, নোটবন্দির সময় মানুষের যে দুর্ভোগ হয়েছিল নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআরের ফলে তাই হতে চলেছে। তাঁর কথায়, “সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর কেবল ধর্মীয় ইস্যু নয়। তাতে প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।” পরে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবাদ থামবে না। যতদিন না ওই আইন বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন লড়াই চলবে।” আর এক বিক্ষোভকারী বলেন, “সরকার মনে করে, তারা সব কিছুই করতে পারে। সরকারের কাজ সংবিধানকে রক্ষা করা। তাকে ধ্বংস করা নয়।” বেশ কয়েকজন অভিনেতা ও অন্যান্য সেলিব্রিটিকেও দেখা গিয়েছে আজাদ ময়দানে।
নাগরিকত্ব আইনের পক্ষের সমাবেশে নেতৃত্ব দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মুম্বই বাদে এদিন দেশের অন্যান্য শহরেও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
শুক্রবার নয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রয়েছে রাজধানীতে। জামা মসজিদ চত্বরে কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে যে উগ্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তা অনেকটাই শান্ত হয়েছে। তবে আন্দোলন চলছে মিটিং, মিছিল, অবস্থান, স্লোগানের মাধ্যমে। যেমন দিল্লির একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ অবস্থান চলছে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবস্থান চলছে ক্যাম্পাসের অদূরেই। বিক্ষোভ চলছে জেএনইউ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও।