
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিয়রে গুজরাত (Gujarat) ও হিমাচলপ্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভার ভোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপি এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টি ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রচারে।
ব্যতিক্রম কংগ্রেস (Congress)। দলের জাতীয় স্তরের কোনও নেতা এখনও জোরকদমে প্রচারে নামেননি ওই দুই রাজ্যে। কার্যত কংগ্রেস এখনও বলতে গেলে অভিভাবকহীন।
রাহুল গান্ধী ব্যস্ত ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে। তাঁর যাত্রাপথে আবার ভোটমুখী এই দুই রাজ্য নেই। তাহলে গুজরাত, হিমাচলপ্রদেশে দলের প্রচারে কান্ডারি হবেন কে?
শুক্রবার কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই রাজ্যে প্রচারের নেতৃত্ব দেবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রিয়াঙ্কাকে এবার গুরুত্বপূর্ণ আরও দুটি রাজ্যে প্রচারের ভার দেওয়া হল।
যদিও এবছর মার্চে অনুষ্ঠিত উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল হয় শোচনীয়। ৩২৫ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস জেতে মাত্র দুটি আসনে। দলের ভোট কমে নেমে এসেছে দুই শতাংশে।
লজ্জাজনক হারের দায় প্রিয়াঙ্কার ঘাড়ে চাপাননি কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী। সেই দফায় ভোট হওয়া বাকি চার রাজ্যেও নির্মমভাবে পরাজিত হয় কংগ্রেস। হারের দায় চাপিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের। প্রিয়াঙ্কার ব্যর্থতা নিয়ে রা কাড়েননি সনিয়া।
এবার গুজরাত ও হিমাচলের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাজ্যের ভারও মেয়েকে দিতে চলেছেন তিনি। যদিও দুই রাজ্যে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই কংগ্রেসের নতুন সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার কথা।
গুজরাতে লাইট পোস্টে বেঁধে যুবকদের পুলিশের মারধর, মানবাধিকার কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই দুই রাজ্যে নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ ভোট হতে পারে। ওই সময় রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। ভোটমুখী দুই রাজ্যে প্রচারের মুখ করা হবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
ওই দুই রাজ্যে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাহুল ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। দুই রাজ্যেই কংগ্রেস পরাজিত হয়। তবে, গুজরাতে রাহুলের নেতৃত্বে দল ভাল ফল করে। যদিও কংগ্রেসের বিধায়কদের সিংহভাগ বিজেপিতে চলে গিয়েছেন গত পাঁচ বছরে।
কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, প্রিয়াঙ্কা নামলে বিজেপি ও আপের প্রচারের ধার কমে যাবে। কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণের পথে হাঁটবে না প্রতিপক্ষ শিবির।
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষার ফল বলছে, কংগ্রেসের অবস্থা দুই রাজ্যেই আরও শোচনীয় হতে চলেছে। গুজরাতে কংগ্রেসের আসন গতবারের অর্ধেকের নিচে নেমে আসবে।
অন্যদিকে, হিমাচলে দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের অবর্তমানে রাজ্য নেতৃত্বের সমীকরণ বদলে গিয়েছে। প্রয়াত বীরভদ্রর স্ত্রী প্রতিমাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির চেয়ারে বসিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে দল।