
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির মৃত্যু হল জেলে থাকাকালীনই। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বন্দির পরিবার (Jalpaiguri Central Jail)।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। সেখানেই ছিল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত (Life Imprisonment) বন্দি জাকির হোসেন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে জলজ্যান্ত মানুষটা জেলে থাকাকালীন মারা গেল, ভেবেই পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বন্দির পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, গত ১৪ অগস্ট অসুস্থ অবস্থায় জাকির হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। কিন্তু এসব কিছুই বাড়ির লোককে জানানো হয়নি। মঙ্গলবার ভাইয়ের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে চান জাকির হোসেনের দাদা হৃদয় হোসেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ ইতস্তত করতে থাকে, তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। অবশেষে তাঁরা জানতে পারেন, বন্দি অসুস্থ, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে জাকিরের মৃত্যু সংবাদ পায় পরিবার।
জানা গেছে, কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার ১০৮ ছোটো কুচলিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পকসো মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেখলিগঞ্জ সেশন কোর্ট জাকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। তারপর থেকেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিল জাকির। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।
একইসঙ্গে কেন পরিবারের লোকজনকে বন্দির অসুস্থতা সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি, কেন কিছুই তাঁদের জানানো হয়নি, এর পিছনে জেল কর্তৃপক্ষ কিছু গোপন করতে চাইছে কিনা সবটা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পারিবার। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার সৌমিক সরকার জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। ঘটনার কথা শুনেছেন, কাজে যোগ দিয়ে দফতরের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন:নেতা অভিষেক, ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল, পোস্টারে ছয়লাপ কলকাতা