
অবশেষে দুই রাজ্যের বিরোধ মেটাতে আসরে নামছেন মোদী। এর আগে ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গাতেও একইভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন অমিত শাহ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল মোদীকে।
মিজোরামের রাজ্যপাল হরি বাবু কামভামপতি সোমবার সকালে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রও চেষ্টা করছে যাতে বিরোধ মিটিয়ে নেওয়া যায়। অসম-মিজোরাম সংঘর্ষকে তিনি ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গাও শীঘ্র বৈঠকে বসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে মিজোরামের রাজ্যসভা সাংসদ কে ভানলাভেনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল অসম পুলিশ। সোমবার জানা গিয়েছে, সেই মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। দুই রাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্যই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে অসম-মিজোরাম সংঘর্ষের আঁচ পড়েছিল উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্যে। শুক্রবার মেঘালয়ের শ্রমমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সানবর শুল্লাই বলেন, আন্তঃরাজ্য সীমান্ত ‘শত্রুর’ হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরাও পুলিশ মোতায়েন করব।
পরে সানবর বলেন, মিজোরামের পুলিশ ও জনগণ প্রমাণ করেছেন, তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মন্ত্রীর দাবি, মেঘালয়ের মানুষও পুলিশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ। যদি আন্তঃরাজ্য সীমান্তে অসমের মানুষ মেঘালয়ের বাসিন্দাদের হয়রান করতে থাকে, তাহলে আমরা কেবল চায়ের টেবিলে বসে আলোচনা করব না। আমরা প্রতিক্রয়া জানাব। ঘটনাস্থলেই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
মিজোরামের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এভাবেই শক্তিপ্রয়োগ করে নিজেদের লোকজনকে রক্ষা করতে হয়। আমাদের পুলিশেরই সবার আগে গিয়ে অসম পুলিশের সঙ্গে কথা বলা উচিত। আমরা অনেক সময় দেখেছি, সাধারণ মানুষকে এগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ থাকে পিছনে। প্রশাসনের কর্তাদের উচিত, পুলিশকে সকলের আগে থাকতে বলা।
সানবর বলেন, যদি আপনার বাড়িতে শত্রুরা হামলা করে, তাহলে আপনার আত্মরক্ষার অধিকার আছে। সীমান্তের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়।