
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেট্রল, ডিজেল-সহ জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি (Price Hike) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণে নামল গোটা গান্ধী পরিবার। সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা সকাল থেকেই এই ইস্যুতে সরব।
লোকসভায় মূল্যবৃদ্ধি (Price Hike) নিয়ে আলোচনায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ হ্রাস নিয়ে কেন্দ্রকে চেপে ধরেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।

অন্যদিকে, বিজয়চকে কংগ্রেস সাংসদদের ধরনায় নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তার আগে রাহুল টুইট করেন। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে বলেন, ওঁকে প্রশ্ন করো না। উনি ফকির। ওঁর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে রোজ পেট্রল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা (Price Hike)।

এদিনই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, অনুগ্রহ করে মানুষকে জানান, ভোটের সময় পেট্রল ডিজেলের দাম স্থির রাখার ফর্মুলাটা কী!
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের আগে টানা প্রায় চারমাস জ্বালানি তেলের দাম বাড়েনি। কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার কিছু দিন পর থেকেই দাম চড়তে শুরু করেছে। গত দশ দিনে নয়বার বেড়েছে দাম।
মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে এদিন দিল্লিতে সব বিরোধী দলই কেন্দ্রকে চেপে ধরেছে। এরমধ্যে কংগ্রেস আজ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ‘মূল্যবৃদ্ধি মুক্ত ভারত’ অভিযান শুরু করেছে। গোটা দেশেই এই ক’দিন আন্দোলন করার কথা কংগ্রেসের। লক্ষনীয়, দিল্লিতে প্রচারের আলোর দখল নিয়েছে গান্ধী পরিবার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে পাঁচ রাজ্যের ভোটে ভরাডুবির পর কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অন্য বিরোধী। দলগুলি অভিযোগ তোলে মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলির বিরুদ্ধে কংগ্রেস জনমত তৈরির মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না। সেই সমালোচনা খানিক মান্যতা পেল এদিন গোটা
গান্ধী পরিবারের সক্রিয়তায়।

রাহুল গান্ধী বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্থান, ভুটান, নেপালের থেকে ভারতে পেট্রল, ডিজেলের দাম বেশি (Price Hike)।
সনিয়া এদিন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দেশবাসীর যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাজেট ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস সরকারের চালু করা এই প্রকল্প নিয়ে অনেক কটাক্ষ করা হয়েছে একটা সময়। কিন্তু লকডাউনের সময় এই প্রকল্পই সরকারের মুখ রক্ষা।করেছে। কংগ্রেস নেত্রীর দাবি, এই প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হোক। মেটানো হোক রাজ্যগুলির প্রাপ্য।

সনিয়ার কথার জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মোদী সরকারের সময় এই প্রকল্প নিয়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার ফিরিস্তি দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে এই প্রকল্পে যুক্ত কর্মীদের ভাতার টাকা দ্রুত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে।
দেশের চেয়ে দু’ঘণ্টা এগোনো হোক অসমের ঘড়ি, কেন এমন দাবি মুখ্যমন্ত্রীর