
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীনই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল, তবু বাড়ির লোককে জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। শেষে সিজারও করে দেওয়া হয় না জানিয়েই, তারপরই রীতা দাস নামের বছর কুড়ির সেই যুবতীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।
কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত চাঁদ সড়ক এলাকার টিউলিপ নার্সিংহোমে চলে ভাঙচুর। সেখানেই ভর্তি ছিলেন রীতা। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির জেরেই মৃত্যু।
সূত্রের খবর, নদিয়ার দোগাছি এলাকার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা রীতা দাসকে কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর প্রসবকাল আসন্ন মনে করে পরিবারকে না জানিয়েই ওই প্রসূতিকে সিজার করা হয়। এরপর রীতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।
যদিও ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, অনেক আগেই ওই যুবতীর মৃত্যু ঘটেছে। এরপরই ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান রোগীর আত্মীয় ও পরিজনরা। যদিও গোটা ঘটনার অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রসূতি মারা গেলেও সদ্যোজাত শিশুটি সুস্থ আছে বলেই জানা যায়। তাছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনা খতিয়ে দেখছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।