
নাৎসি জার্মানিতেও এমন হত…, প্রচারমূলক ফিল্ম নিয়ে বললেন নাসিরুদ্দিন শাহ
প্রধানমন্ত্রীকে পোস্টকার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্তে মনে করা হচ্ছিল আড়াই কোটির ব্যবসা পেতে চলছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। কিন্তু পোস্টকার্ড ভর্তুকিতে চলে। ডাক বিভাগের বছর খানেক আগের রিপোর্ট বলছে, পোস্টকার্ড ছাপা থেকে প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত ১২ টাকার মতো খরচ হয়। অথচ পোস্টকার্ডের দাম মাত্র ৫০ পয়সা। ক্ষতির হিসেব করলে মোবাইল ক্যালকুলেটরের স্ক্রিন ভরে উঠবে। ক্ষতির অঙ্ক দেখাবে প্রায় ৬০ কোটি। সেই অর্থ ঘুরপথে যাবে করদাতাদের পকেট থেকে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছার ছ্যাকা লাগবে নাগরিকের পকেটেই।
এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, ই–মেলের দাপটে পোস্টকার্ড এতটাই কোণঠাসা যে, তুলে দিলেও কারও কিছু যাবে আসবে না। কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের এক আধিকারিকের দাবি, চিঠিপত্রে আর ডাক বিভাগের মুনাফার প্রশ্নই নেই। পোস্টকার্ড থেকে তা থেকে আয় হয় মাত্র ৫০ পয়সা (যা তার দাম)। এখনও আয় একই। কিন্তু গড় খরচ আরও বেড়েছে। ফলে আয়ের তুলনায় লোকসানই বেশি সরকারের।
একই পরিস্থিতি ইনল্যান্ড লেটার ও স্পিড পোস্টেরও। অথছ এক সময়ে পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটারের চল ছিল ঘরে ঘরে। কিন্তু এখন চাহিদা তলানিতে। ধর্মতলা ডাকঘরের এক কর্মী জানিয়েছেন, সারা বছর পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ডের চাহিদা ফের তৈরি হলে পুষিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে পোস্টকার্ডের চাহিদা বাড়লে পরিষেবা দেওয়ায় দায়বদ্ধতা বাড়ে। ফলে আচমকা সমস্যা পড়তে হয় ডাকবিভাগকে। সাধারণ পোস্টকার্ডের বদলে রেজিস্ট্রি পাঠালে বরং দু’পয়সা লাভ হয়।
বাংলায় মোদীর জন্মদিন পালনের দায়িত্বে রয়েছে যুবমোর্চা। পোস্টকার্ডে বার্তা লিখে পাঠাবেন কর্মী সমর্থকরা। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বুথ স্তর থেকে নেতা–কর্মী ও সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে অন্তত পাঁচ কোটি চিঠি পাঠাবেন। রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, কর্মীদের ৫০ পয়সা খরচ হবে। পোস্ট কার্ডে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতে হবে। পাঁচ কোটি পোস্ট কার্ড থেকে ডাক বিভাগের কম করে আড়াই কোটি টাকার ব্যবসা হবে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সোমবার বলেন, ‘নমো অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাঁর জীবনের মহৎ উদ্দেশ্য এই অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি তুলে ধরা হবে।