প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, করোনাভাইরাস অতিমহামারী ঠেকানোর জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হল ৩ মে পর্যন্ত। তাঁর বক্তব্য, ইতিমধ্যে যে ২১ দিন লকডাউন করা হয়েছে, তাতে ওই রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো গিয়েছে অনেকাংশে। কিন্তু অতিমহামারী দূর করার জন্য আরও কিছুদিন লকডাউন করা প্রয়োজন।
একইসঙ্গে তিনি জানান, আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে। তারপর যেখানে নতুন করে ওই রোগে কেউ আক্রান্ত হননি সেখানে লকডাউন শিথিল করা হতে পারে। কিন্তু তারপরে যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে ফের লকডাউন করা হবে।
চিদম্বরম বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বলেছেন, তাঁদের আরও টাকা চাই। রঘুরাম রাজন থেকে জঁ দ্রেজ, প্রভাত পট্টনায়ক থেকে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই বলেছেন, এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরও টাকা চাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বধির হয়ে আছেন।”
But beyond the lockdown, what was ‘new’ in PM’s new year message?
It is obvious that livelihood for the poor — their survival — is not among the priorities of the government.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 14, 2020
কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শূন্যগর্ভ। কারণ তিনি আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, “প্রধানমন্ত্রী যেন হ্যামলেট। যদিও তিনি প্রিন্স অব ডেনমার্ক নন।”
Amazing #PM address. Exhortation, rhetoric, inspiration…..yet hollow on specifics! No financial package, no details, no concrete item. Neither 4poor nor middle class nor industry nor businesses. #Lockdown is good bt cannot be end in itself! Where is single livelihood issue?
— Abhishek Singhvi (@DrAMSinghvi) April 14, 2020
এদিন সাতসকালেই ‘করোনা যোদ্ধা’-দের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে ডাক্তার, স্যানিটেশন কর্মী এবং পুলিশকর্মীরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়াই অতিমহামারীর মোকাবিলা করছেন।
তাঁর কথায়, “সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অতিমহামারীর মোকাবিলা করাই এখন দেশপ্রেমিক কাজ। আমাদের করোনা যোদ্ধারা প্রাথমিক সুরক্ষা ছাড়াই রোগীদের সেবা করছেন।” মানুষের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, “লকডাউন মেনে চলুন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখুন।”
সনিয়া লিখেছেন, “পুলিশ আর জওয়ানরা লকডাউন সফল করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। স্যানিটেশন কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর ব্যবস্থা করছেন। সরকারি অফিসাররা চেষ্টা করছেন যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ অক্ষুণ্ণ থাকে। কিন্তু আমরা সমর্থন না করলে তাঁদের উদ্যোগ সফল হবে না।”
এর পরে সনিয়া বলেছেন, “অনেক সাধারণ মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্যানিটাইজার বিলি করছেন। তাঁদেরও প্রশংসা করা উচিত। এই লড়াইয়ে কংগ্রেস কর্মীরা তাঁদের পাশে আছে। আমরা কোনও রাজ্যে সরকারে থাকি বা না থাকি, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করব।”