
এরপরে কেজরিওয়াল লিখেছেন, “কোভিডের প্রথম ওয়েভের সময় আমরা উড়ানের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে দেরি করেছিলাম। সেই সময় বহু আন্তর্জাতিক উড়ান চালু ছিল। তার ফলে দিল্লির ক্ষতি হয়েছিল যথেষ্ট।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, “পিএম সাহেব, প্লিজ স্টপ দ্য ফ্লাইটস”।
একইসঙ্গে টুইটারে সংবাদ সংস্থার একটি খবর শেয়ার করেছেন কেজরিওয়াল। তাতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সম্প্রতি চণ্ডীগড়ে এসেছেন ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের দু’জনের শরীরেও কোভিডের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
সোমবার জানা যায়, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের দু’টি জায়গায় নজর রাখছে সরকার। সেখানে কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত মানুষজনের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতে কোনও ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ডোম্বিভ্যালিতে এক ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ হন। তিনি গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে ফিরেছেন। তাঁর দেহ থেকে নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সং-এর জন্য পাঠানো হয়েছে।
কর্নাটক থেকে ইতিমধ্যে কেরালার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা। জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কন্নড়, মাদিকেরি, চামরাজনগর এবং মাইসুরু। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, কেরল থেকে যাঁরা আমাদের রাজ্যে আসছেন, তাঁদের অনেকে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা, বটসোয়ানা এবং হংকং থেকে কাউকে যেন ভারতে না আসতে দেওয়া হয়। ওই দেশগুলিতেই প্রথমে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে তা মোট ১৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, বিদেশ থেকে যাঁরা ভারতে আসছেন, তাঁদের ওপরে কড়া নজর রাখা হবে। বিশেষত যে দেশগুলিতে ইতিমধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, সেখান থেকে কেউ এলে তাঁকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ব্রিটেন ও জাপান সহ মোট ১১ টি দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাউকে আসতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্ট। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক। এর জেরে সংক্রমণের আরও একটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।