
মোদী বলেন, হরিয়ানার কাছে আজ একটা উল্লেখযোগ্য দিন। এই হাইওয়ে রাজ্যের পরিবহণে বিপ্লব আনবে। এর পরে ভুতপূর্ব ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অন্তত এক দশক আগে, কমনওয়েলথ গেমসের সময় এই হাইওয়ে তৈরি হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের দুর্নীতির জন্য তা হয়নি। কংগ্রেস তার জবাবে বলে, প্রধানমন্ত্রী যে হাইওয়ে তৈরি করেছেন, তা অসম্পূর্ণ। এর জন্য রাজ্যের মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। তার দায় প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে।
মোদীর অভিযোগ, কংগ্রেসে জনগণের টাকা নয়ছয় করেছে। বহু ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন গুণ। যদি সময়ে এই রাস্তা নির্মাণ শেষ হত, তাহলে দিল্লিতেও যানবাহনের চাপ অনেক কমত। এখন আর পণ্যবাহী গাড়িগুলির আর দিল্লির ওপর দিয়ে হরিয়ানায় আসার প্রয়োজন হবে না। দিল্লিতে না ঢুকে এই রাস্তা দিয়েই হরিয়ানায় ঢুকতে পারবে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়াররা এখনও এই হাইওয়ে পরীক্ষা করে দেখেননি। তার আগেই রাস্তার উদ্বোধন হয়ে গেল। কারও জীবন বিপন্ন হলে কেন্দ্রের মোদী সরকার ও রাজ্যের খাট্টার সরকার দায়ী থাকবে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, হরিয়ানার শিল্প ও পরিকাঠামো কর্পোরেশন পর্যন্ত জানিয়ে দিয়েছে, এই রাস্তায় দুর্ঘটনা হলে তারা দায়িত্ব নেবে না।
রাস্তার দৈর্ঘ্য ৮৩ কিলোমিটার। তার ওপরে আছে ১৪ টি ব্রিজ, ৫৬ টি আন্ডারপাস, সাতটি মোড় ও সাতটি টোল প্লাজা। হরিয়ানা সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হাইওয়ে নির্মাণের জন্য ৩৮৪৬ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। তাতে খরচ হয়েছে ২৭৮৮ কোটি টাকা। রাস্তা নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ৬৪০০ কোটি টাকা।