
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) অভিযোগ, বিরোধীরা তাঁকে দিনরাত গাল (abuse) দিয়ে বেড়ায়। তাঁর ভাল কাজের প্রশংসা (appreciate) করে না।
হালে গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে প্রতিটি সভায় এই অনুযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তেলেঙ্গানায় সরকারি সফরে গিয়েও একই কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী।
কংগ্রেসের (congress) পাল্টা বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বিপাকে পড়ে সহানুভূতি কুড়োতে চাইছেন। কেউ তাঁকে গাল দেয়নি। সহানুভূতি পেতে সমালোচনাকে গালমন্দ বলে চালাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়ার কড়া জবাব দিয়েছে বিজেপিও। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীকে কখনও নীচ বলা হচ্ছে। কখনও তাঁর সামাজিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এগুলি কি গালাগাল নয়?
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডন করতে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার বলেন, এ দেশে জাতির পিতা গান্ধীর বুকে গুলি ছোড়া হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী কিনা বিরোধীদের সমালোচনাটুকু গ্রহণ করতে পারছেন না। বলছেন গাল দেওয়া হচ্ছে।
কানহাইয়ার বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের কথা বিকৃত করছেন। জনগণের সমালোচনাকে সম্মান না দিয়ে সমবেদনার কার্ড খেলার চেষ্টা করছেন।
কানহাইয়ার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী এত বিচলিত কেন? বিরোধী দল তাঁকে যদি গালমন্দ করে তাহলে তাঁর এত চিন্তা কেন? জনগণ তাঁকে ভোট দিয়েছে। একবার নয়, দু’বার। তাঁর উচিত জনগণকে ব্যাখ্যা করা, যে, কেন তিনি তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করেননি।
প্রধানমন্ত্রী তেলেঙ্গানার একটি সমাবেশে বলেছিলেন যে তিনি প্রতিদিন ২-৩ কেজি গালি খান। কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে গালমন্দ নিজের জন্য পুষ্টি এবং ইতিবাচক শক্তিতে বদলে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন।
কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিধানসভার চলতি নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে সহানুভূতি অর্জনের মরিয়া প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে। হিমাচলপ্রদেশ, যেখানে বিজেপিকে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, গত পরশু প্রধানমন্ত্রী গাল খাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের সময় সেখানে ভোট গ্রহণ চলছিল।
কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনাতে, টুইট করেছেন, ‘সবকিছুর পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি ধরে নিয়েছেন যে এরপর গুজরাতের ভোটেও তাঁকে সহানুভূতির কার্ড খেলতে হবে? তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী যখন এত ভাল কাজ করার কথা দাবি করছেন, তাহলে তাঁকে সহানুভূতির কার্ড খেলতে হচ্ছে কেন?
কানহাইয়া বলেন, যারা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের ছবি আরএসএস-বিজেপি-র অফিসে ঝুলছে। এটা হাস্যকর, যে দল ঘৃণা ছড়ায়, ঘৃণা ভাষণ দেওয়া লোকেদের সমর্থন করে, অনুসরণ করে, যারা সবাইকে গালি দেয়, তারাই কিনা সহানুভূতি পেতে চাইছে। আসলে মোদী সর্বদা প্রকৃত উদ্বেগ থেকে জাতির দৃষ্টি সরানোর জন্য ইস্যু তৈরি করে থাকেন।’
কানহাইয়ার কথায়, সত্যের কোনও প্রমাণ লাগে না। ভারত আসলে রাহুল গান্ধীকে দেখেছে। শিশু, মহিলা, প্রবীণদের সঙ্গে সহানুভূতিশীল মুহুর্তের সেই অগণিত চিত্র দেখেছে। যারা অন্যায়ের শিকার, যারা আশাহত, বঞ্চিত, তারা রাহুল গান্ধীর পাশে রয়েছে।
মোদীর কথার জবাব দিতে গিয়ে কংগ্রেসের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশও রাহুল গান্ধীকেই দৃষ্টান্ত করেছেন।
সার্ভিস রিভলভার থেকে বুকে গুলি! যুদ্ধজাহাজের মধ্যেই আত্মহত্যা নৌসেনা আধিকারিকের