
আবেদনকারী সংস্থার নাম গ্লোবাল পিস ইনিশিয়েটিভ। তারা শীর্ষ আদালতে বলেছে, বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোভিড প্যানডেমিকের সময় ত্রাণের কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। ভারতে এখন অতিমহামারীর তৃতীয় ওয়েভ এসেছে। যে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তারা কোভিড পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাহায্য করেছিল।
আবেদনে বলা হয়েছে, যতদিন ভারতে কোভিড অতিমহামারী চলবে, অন্তত ততদিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে বিদেশি অনুদান নিতে অনুমতি দেওয়া হোক। আবেদনকারী সংগঠন বলেছে, “আচমকা যেভাবে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি অনুদান নেওয়ার লাইসেন্স ক্যানসেল করা হয়েছে, তাতে বিপদে পড়বেন দেশের বহু মানুষ।”
আবেদনে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি যে অতিমহামারী ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, তা স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, নীতি আয়োগ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিস।
গত ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকজন সাংবাদিককে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে জানায়, যে ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের অর্ধেক লাইসেন্স রিনিউয়ের জন্য আবেদনই করেনি। একসময় মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির লাইসেন্সও রিনিউ করা হয়নি। পরে, ৬ জানুয়ারি ওই লাইসেন্স রিনিউ করা হয়। লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
আপাতত যে স্বেছাসেবী সংস্থাগুলির লাইসেন্স রিনিউ হয়নি, তাদের মধ্যে আছে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া, অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া ট্রাস্ট, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, লেপ্রসি মিশন, টিউবারকুলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টস এবং ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচার সেন্টার।