দ্য ওয়াল ব্যুরো : মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik) গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায় দোস্ত’। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছিলেন, সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের মামলায় আগামী দিনে আরও অনেক কিছুই জানা যাবে। তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন আরিয়ানের খানের মামলায় তদন্তকারী এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। শুক্রবার মন্ত্রী বলেন, পিকচার তখনই শেষ হবে যখন সমীর ওয়াংখেড়ে চাকরি হারাবেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি রোজ ওই অফিসারের কীর্তিকলাপ প্রকাশ্যে জানাব। যে পার্টি থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তার উদ্যোক্তা কাসিফ খান হলেন সমীরের বন্ধু। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। মন্ত্রীর দাবি, সমীরের সঙ্গে কয়েকজন রাজনীতিকের যোগাযোগ আছে। তাঁরা নানা অসদুপায়ে অর্থ উপার্জন করেন।
নবাব মালিক রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, আমি বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এসম্পর্কে বক্তব্য পেশ করব। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে। সমীর ওয়াংখেড়ে এনসিবি-র ওয়েস্টার্ন জোনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তাঁর অফিসে বিজেপি নেতারা যাতায়াত করতে থাকেন।
মন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপির নির্দেশে সমীর মহারাষ্ট্র সরকারের বদনাম করতে চাইছেন। বিজেপির উদ্দেশ্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে মুম্বই থেকে তুলে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া।
নবাব মালিকের দাবি, সমীর ওয়াংখেড়ে জন্মসূত্রে মুসলমান। কিন্তু জালিয়াতি করে হিন্দু পরিচয় দিয়ে তিনি কাস্ট সার্টিফিকেট জোগাড় করেন। তার জোরেই তিনি ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসে চাকরি পেয়েছিলেন। ওয়াংখেড়ে অবশ্য দাবি করেন, তিনি হিন্দু। কিন্তু নবাব মালিক টুইটারে ওয়াংখেড়ের ‘নিকাহ নামা’-র ছবি পোস্ট করেছেন। অর্থাৎ তিনি দেখাতে চেয়েছেন, মুসলমান মতেই ওয়াংখেড়ের বিবাহ হয়েছিল। সুতরাং তিনি মুসলমান।
এর আগে নবাব মালিক একটি বার্থ সার্টিফিকেট পোস্ট করে দাবি করেন, সেটি সমীর ওয়াংখেড়ের। বার্থ সার্টিফিকেটে শিশুর বাবার নাম হিসাবে লেখা আছে দাউদ কে ওয়াংখেড়ে। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর ওয়েবসাইটে লেখা আছে, সমীরের বাবার নাম ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে। নবাব মালিক টুইট করে বলেছেন, সমীরের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন, ওই তদন্তকারী অফিসার জালিয়াত।
মন্ত্রীর দাবি, ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর সমীরের বিবাহ হয়। তাঁর বোনের স্বামী আজিজ খান ছিলেন বিয়ের সাক্ষী। এর আগে ওয়াংখেড়ের স্ত্রী ক্রান্তি রেদকার ওয়াংখেড়ে মন্ত্রীর দাবি খারিজ করে বলেন, আমি ও আমার স্বামী সমীর দুজনেই জন্মসূত্রে হিন্দু । আমরা অন্য কোনও ধর্মই গ্রহণ করিনি কখনও। সব ধর্মের প্রতিই শ্রদ্ধা আছে। সমীরের বাবাও ছিলেন হিন্দু। তিনি আমার মুসলিম শাশুড়ি মাকে বিয়ে করেন। শাশুড়ি মা আর নেই। সমীরের আগের বিয়েটা হয়েছিল বিশেষ বিবাহ আইনে। ২০১৬-য় তাঁদের ডিভোর্স হয়। ২০১৭য় আমাদের বিয়ে হয় হিন্দু বিবাহ আইনে।