
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কলকাতায় এলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। শনিবার সল্টলেকের করুণাময়ীর প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) অফিসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তার আগে প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন আঞ্চলিক অধিকর্তার দফতরের অফিসারদের সঙ্গে।
দেশ জুড়ে প্রভিডেন্ড ফান্ডের (PF) সদস্য কর্মচারীদের জন্য ই-নমিনেশন, আধারের সঙ্গে ইউনিক অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগ স্থাপনের কাজ জোর কদমে চলছে। ই-নমিনেশনের কাজে ইতিমধ্যে কলকাতার এই অফিস দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান অর্জন করেছে। প্রভিডেন্ড ফান্ডের (PF) অতিরিক্ত অধিকর্তা রাজীব ভট্টাচার্য মন্ত্রীকে জানান, ই-নমিনেশন এবং আধারের সঙ্গে ইউনিক অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগের কাজ অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ শতাংশ অর্জন করা গিয়েছে। বাকি কাজও দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার পরিকল্পনা চলছে।

মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার এই কাজে কলকাতা অফিস দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। অতিরিক্ত অধিকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রভিডেন্ড ফান্ড সংক্রান্ত যে প্রকল্পগুলি চালু করেছেন সেগুলি নাগরিকদের কাজে পৌঁছে দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীর পরিবারের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য কলকাতা অফিসের কর্মকর্তা থেকে কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানান তিনি।

ই-নমিনেশন হল অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্যরা পরিবারের কাউকে নমিনি হিসাবে নাম এবং নথি যুক্ত করার ব্যবস্থা। প্রভিডেন্ড ফান্ডের অনেক কাজের মধ্যে এই কাজের জন্যও এখন আর দফতরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
অন্যদিকে, প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে ইউনিক অ্যাকাউন্ট নম্বর হল, এমন একটি নম্বর যা একজন সদস্য কর্মচারীর জন্য স্থায়ী নম্বর হিসাবে কাজ করবে তার গোটা কর্মজীবন। অর্থাৎ তিনি অফিস বদল করলেও ওই নম্বরটি অপরিবর্তিতই থাকবে। এর ফলে কেউ সংস্থা বদল করলেও আর প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত কাগজপত্র পরিবর্তনের হ্যাপা থাকে না। ওই একটি নম্বর দিয়েই মেলে আগের কোম্পানির প্রভিডেন্ট ফান্ডের যাবতীয় তথ্য।
মন্ত্রী বলেন, কলকাতা অফিসের কর্মীদের এই পরিশ্রমের ফলে উপভোক্তাদের অভিজ্ঞতা এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। আগামীতেও এমনভাবে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেন তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছয়জনের হাতে পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন। পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর পর আটকে থাকা পেনশন আর চিন্তার কারণ থাকল না এই ছয় পরিবারের।
আরও পড়ুন : GTA : জিটিএ নির্বাচন নিয়ে অনশনে বসার হুমকি বিমলের