
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত রবিবার দেশে স্থিতিশীল ছিল পেট্রল-ডিজেলের দাম। কিন্তু সোমবার সকালেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি নোটিশ দিয়ে জানাল, পেট্রল ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৩০ থেকে ৩১ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের আনুপ্পুরে এদিন প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হয়েছে ১০৭ টাকা ১৭ পয়সা। ডিজেলের দাম হয়েছে ৯৮ টাকা ২৯ পয়সা। দেশের মধ্যে রাজস্থানেই জ্বালানির ওপরে সবচেয়ে বেশি হারে ভ্যাট নেওয়া হয়। এরপরেই মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ভ্যাটের হার সবচেয়ে বেশি।
এদিন দিল্লিতে পেট্রলের দাম ৯৬ টাকা ১২ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৬ টাকা ৪১ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে ২৯ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৩০ পয়সা। তার দাম ৮৬ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা ২৮ পয়সা।
মেট্রো শহরগুলির মধ্যে মুম্বইতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম সবচেয়ে বেশি। সেখানে পেট্রলের প্রতি লিটারের দাম ১০২ টাকা ৫৮ পয়সা এবং ডিজেলের এক লিটারের দাম ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। কলকাতায় পেট্রলের এক লিটারের দাম ৯৬ টাকা ৩৪ পয়সা। ডিজেলের এক লিটারের দাম ৯০ টাকা ১২ পয়সা। চেন্নাইতে এক লিটার পেট্রলের দাম ৯৭ টাকা ৬৯ পয়সা। এক লিটার ডিজেলের দাম ৯১ টাকা ৯২ পয়সা।
রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে জ্বালানির দাম সব সময়ই বেশি থাকে। সেখানে এখন পেট্রলের প্রতি লিটারের দাম ১০৭ টাকা ৫৩ পয়সা এবং ডিজেলের প্রতি লিটারের দাম ১০০ টাকা ৩৭ পয়সা। মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় পেট্রলের প্রতি লিটারের দাম ১০৬ টাকা ৮১ পয়সা। ডিজেলের প্রতি লিটারের দাম ৯৭ টাকা ৯৬ পয়সা।
মে মাসে কয়েকটি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরিতে ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে দফায় দফায় বাড়তে থাকে পেট্রল ও ডিজেলের দাম। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সম্প্রতি একটি পথনাটিকা বানিয়েছে কংগ্রেস। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি স্কুটিতে চেপে পেট্রল পাম্পে ঢুকছেন দুই যুবক। ডিজিটাল বোর্ডে পেট্রলের দাম লেখা। একটু দূরে রাখা ফ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপুড় হয়ে শুয়ে থাকার ছবি। যদিও ছবিটি কয়েক বছর আগে লাল কেল্লার সামনে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ইয়োলা হয়েছিল।
ছোট্ট পথনাটিকায় দেখা যাচ্ছে স্কুটিতে চেপে পাম্পে আসা এক যুবক দাম দেখেই বাক্শক্তি হারাচ্ছেন। ছুটে চলে যাচ্ছেন ওই ফ্লেক্সের সামনে। আর সেই ফ্লেক্সে মোদীর ছবির নীচে লেখা, ‘পেট্রলের দাম ১০০ টাকা হয়ে গেছে। মোদীজি শুয়ে পড়েছেন। আমরাও শুয়ে পড়ব!’
মনমোহন সিং জমানায় যখন পেট্রলের দাম বাড়ত তখনই গর্জে উঠতেন মোদী। সেই সময়ে নানা ভিডিও, বিদ্রুপাত্মক স্লোগান টুইট করতেন স্মৃতি ইরানি, রবিশঙ্কর প্রসাদরা। অনেকের মতে, যুব কংগ্রেসও যেন এদিন বোঝাতে চাইল এক মাঘে শীত যায় না। কড়ায় গণ্ডায় সব ফিরিয়ে দিতে চাইল তারা। এই ভিডিও টুইট করেছেন যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা শ্রীনীবাস বি বিভি।