
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের (Pervez Musharraf) জীবনে ছিল ঘটনার ঘনঘটা। সেনা প্রধান থেকে দেশের রাষ্ট্রপতি— জীবনের প্রতি পদে যেমন দেখিয়েছেন সাহসিকতার পরিচয়, কুড়িয়েছেন বাহবা, তেমনই বিতর্কও ছিল। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না এই পারভেজের জীবনেও প্রেম (Love Story) এসেছিল। একবার নয়, বারবার তাঁর জীবনে প্রেম নানা রূপে ধরা দিয়েছিল!
২০০৬ সালে মোশারফ তাঁর আত্মজীবনী ‘ইন দ্য লাইন অফ ফায়ার: অ্যা মেমোয়ার’-এ লিখে গেছেন নিজের প্রেমের কথা। মোশারফ জীবনে দ্বিতীয়বার এক বাঙালি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন! সেই কথা নিজের আত্মজীবনীতে লিখতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ও এখন সুখে ঘর করছে বাংলাদেশে।’
কে সেই বাঙালি কন্যা যিনি মোশারফের মনে ঝড় তুলেছিলেন? আত্মজীবনীতে সেই প্রেমিকার নাম লেখেননি তিনি। শুধু বলেছেন এক ‘বাঙালি’ কন্যার সঙ্গে তৈরি হওয়া প্রেমের কাহিনি।
মোশারফের জীবনে প্রথম প্রেম এসেছিল কিশোর জীবনে। সেই প্রেম যেমন এসেছিল দমকা হাওয়ার মতো তেমনই একদিন হারিয়ে যায়। তাই সেই প্রেম নিয়ে বিশেষ কোনও স্মৃতি ছিল না পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের। কিন্তু ‘দ্বিতীয় প্রেম’-এর গভীরতা ছিল অনেক বেশি, সেই কথাই মোশারফ লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে।
কীভাবে প্রেমে পড়েন সেই ‘বাঙালি’ কন্যার? মোশারফ লিখেছেন, করাচিতে সেই মেয়ে তাঁর প্রতিবেশী ছিল। রোজ যাতায়াতের পথে দেখা হত তাঁদের। সেই দেখা থেকেই ভালবাসার শুরু।
বাংলাদেশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ছিল মোশারফের দ্বিতীয় প্রেমিকার বাড়ি। তবে পরে পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে থাকতে শুরু করে সেই বাঙালি পরিবারটি। মোশারফ যেমন ভালবেসে ফেলেছিলেন ওই বাঙালি পরিবারের মেয়েটিকে, তেমনই মেয়েটিও ভালবাসত ‘যুবক’ পারভেজকে।
মোশারফ তাঁর বইতে লিখেছেন, বেশ কয়েকবছর দু’জনের সম্পর্ক ছিল। চিঠি চালাচালিও হত। দেখা করা, গল্প, প্রেম বিনিময় ছিল যেন রোজকার রুটিন। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরেও প্রেম ছিল। সময় পেলেই প্রেমের টানে বাড়ি ফিরে আসতেন পারভেজ।
তিনি আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘সেনা প্রশিক্ষণের জন্য করাচি শহরকেই বেছে নিয়েছিলাম। কারণ পরিবার নয়, শুধু ওই বাঙালি মেয়েটির জন্য…।’ কিন্তু এত গভীর প্রেমেও ইতি পড়ল। বাঙালি মেয়েটির পরিবার করাচি ছেড়ে চলে গেল পূর্ব পাকিস্তানে। যে দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্য পারভেজ করাচিতে ছিলেন সেনা প্রশিক্ষণের জন্য, সেই দূরত্বই যবনিকা ফেলে দিল তাঁর প্রেমে। মাঝে উঠল কাঁটাতার।