
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের একাধিক উপসর্গ নিয়ে এদিন সতর্ক করেছেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের কর্ণধার রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও যদি দেখা যায় মাথা ব্যথা কমছে না, কিংবা মুখে ফোলা ভাব রয়েছে তবে তা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকের লক্ষণ হতে পারে।
শুধু তাই নয়, মুখের রং ফিকে হয়ে যাওয়া অথবা মুখের কোনও অংশের অনুভূতি হারিয়ে ফেলাকেও এড়িয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গুলেরিয়া। এই সমস্ত রোগ লক্ষণ দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরীক্ষা করতে হবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের।
এদিন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জন্য একগুচ্ছ লক্ষণের কথা বলেছেন এইমস প্রধান। তাঁর কথায়, “যদি আপনার দাঁত পড়ে যায়, নাক বন্ধ হয়ে আসে সেগুলো প্রাথমিক রোগ লক্ষণ। এটা হলে আপনার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো উচিত।”
এক্স রে বা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে সহজেই এই সংক্রমণ ধরা পড়ে। এছাড়া নাসাল এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে বায়োপসিও করা যায়। এমনকি রক্ত পরীক্ষাও এসব ক্ষেত্রে করে দেখা হয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে ইতিমধ্যে মহামারীর পর্যায়ে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার। একাধিক রাজ্যের তরফেও এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। সারা দেশে এই সংক্রমণের রাজ্যওয়াড়ি সংখ্যা এদিন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তাতে দেখা গেছে এই মুহূর্তে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আট হাজার ৮৪৮ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে গুজরাতে।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত বাংলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্তের সংখ্যা এক জন। প্রসঙ্গত গতকালই কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যামফোটেরিসিন-বি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।