
এলাকার বাসিন্দা জয়া, সুলতা, কাঞ্চনরা জানিয়েছেন, ইছামতীর ভাঙনে ইতিমধ্যে বহু চাষের জমি, ঘর ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। আরও বড় ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে। যখন-তখন ইছামতী গিলে নেবে অবশিষ্টটুকু। না ঘুমিয়ে দিন কাটছে জেলেপাড়া সহ ওই তল্লার তিন গ্রামের।
জানা গেছে, ওই এলাকার বেশির ভাগে মানুষই মতুয়া সম্প্রদায়ের। বিধানসভা নির্বাচনে যখন মতুয়াদের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর, সেই সময় তাদের ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে ইছামতীর বাঁকেই। মূলত নদীতে মাছ ধরে অথবা জমিতে চাষ করে তাদের পেটের ভাত জোটে। কিন্তু ভাঙন যখন একবার শুরু হয়েছে, তখন পরিস্থিতি খুবই সঙ্গীন। তাই এই নদীই এখন তাঁদের কাছে বিভীষিকা।
ভোরের আলোতে একটু স্বস্তিতে থাকা গেলেও অন্ধকার নামলে জেগে বসে থাকতে হয়। ২০০০ সালের বন্যায় একাশোর বেশি সীমান্তের গ্রাম গিলে খেয়ে নিয়েছিল ইচ্ছামতী। সেই সঙ্গে তলিয়ে গিয়ে ছিল কয়েকশো বিঘা চাষের জমি। গত তিন দিনে ইছামতী নদীর প্রায় ২০০ ফুট পাড় নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। বারবার প্রশাসনকে বলেও ফল মেলেনি।
‘ইছামতী-বিদ্যাধরী নদী বাঁচাও কমিটি’ দীর্ঘমেয়াদী অর্থ প্রকল্পের সাহায্য চাইতে গ্রিন ট্রাইবুনালেও গিয়েছিল। তাতে কোনও লাভ হয়নি। তবে এভাবে যদি ভাঙন বাড়তে থাকে, তেঁতুলিয়া, জেলেপাড়া, দাসপাড়া, এলাকার নদীর পাড়ে বাস করা ২০০ পরিবার আর্থিক ক্ষতি শিকার হবে। ছাদ হারাবে প্রায় দেড়ে হাজার মানুষ।
স্বরূপনগরের বিডিও কৃষ্ণগোপাল ধারা বলেন, “ইছামতী নদীর গতিপথ পাল্টে যাওয়ায় এই ভাঙন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এর মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক সেচ দফতরে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগ্গরি এলাকায় সমস্ত যাচাই করতে আসবেন তারা।”