
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেহালা পশ্চিমে কি উপনির্বাচন করতে হবে? পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) মামলায় শুক্রবারের শুনানিতে সেইজল্পনাই উস্কে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। আদালতে তিনি বলেন, প্রয়োজনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদও ছাড়তে চান। তিনি সাধারণ মানুষের মতো থাকবেন।
পার্থবাবু এখন আর মন্ত্রী নেই। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে দ্বিতীয় ধাপে টাকা উদ্ধারের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। অনেকের মতে, তা একপ্রকার অনিবার্যই ছিল। সেই বিকেলেই সাংবাদিক বৈঠক করে দলের তরফে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থকে দলের সব পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
এখন পার্থবাবু কেবন বেহালা পশ্চিমের একজন বিধায়ক মাত্র। কিন্তু তাঁর আইনজীবী জানালেন, সেটুকুও ছেড়ে দিতে চান পার্থ।
হঠাৎ কেন এই কথা উত্থাপন করলেন পার্থবাবুর উকিল?
অনেকের মতে, ইডি যাতে পার্থকে প্রভাবশালী তকমা দিতে না পারে সেই কারণেই বিধায়ক পদ ছাড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করে রাখা হল। প্রসঙ্গত, সারদা কাণ্ডে মদন মিত্রকে দীর্ঘ সময়ে জেলে থাকতে হয়েছিল প্রভাবশালী তকমার জন্যই। দিল্লি থেকে কলকাতায় উড়ে এসে কপিল সিব্বলের মতো দুঁদে আইনজীবীও সেইসময়ে মদনের জামিন করাতে পারেননি।
এদিনের শুনানিতে ইডি আর পার্থকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির তরফে আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ১২ দিনের জেল হেফাজত চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, জেলে গিয়ে প্রয়োজন মতো ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চান।
এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, শুক্রবার বিকেল চারটের সময়েও ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ-অর্পিতার মামলার শুনানি চলছে। এখন দেখার শুনানি শেষে কী নির্দেশ দেয় আদালত।