
লাল হলুদের ক্লাবের পক্ষ থেকে অবশ্য ব্যবস্থা ভাল নেওয়া হয়েছে স্মরণসভায়। কেরল থেকে এসেছিলেন আইএম বিজয়ন। তিনিও সুভাষ নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি ঘোষণা করেছেন, নিউ আলিপুরে সুভাষের যেখানে বাড়ি ছিল, সেখানে একটি পার্কের নামকরণ হবে।
এদিকে, সুভাষের জীবনাবসানের পরে তাঁর আত্মজীবনী ‘গোল’ আত্মপ্রকাশ পেতে চলেছে। এদিন অনুষ্ঠানে সুভাষের অভিন্নহৃদয় বন্ধু পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ও প্রাক্তন নামী গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে ওই বইয়ের মলাটা খোলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে বুধবার বাইচুং ভুটিয়া ও বিজয়নের উপস্থিতিতে।
সুভাষের পরিবার হাজির ছিল অনুষ্ঠানে। প্রাক্তন ফুটবলাররা প্রায় সবাই সুভাষ নিয়ে তাঁদের বক্তব্য রেখেছিলেন। পরে সুভাষের পছন্দের দুটি গান পরিবেশন করেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী।
এদিকে, আরও এক প্রাক্তন নামী তারকা সুরজিৎ সেনগুপ্তের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তাঁর বুকে সংক্রমণ রয়েছে। এদিনই তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি করা যায়নি। যদিও ভেন্টিলেশন ওয়ান থেকে দুইয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আজ যে মেডিকেল বুলেটিন দেওয়া হয়েছে, তাতে রয়েছে, ভেন্টিলেশনের সাহায্যে সুরজিতের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে থাকছে। কম শক্তিশালী ভেসোপ্রেসার সাপোর্টের মাধ্যমে তাঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ডাক্তার অজয় কৃষ্ণ সরকারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে সুরজিতের। এ ছাড়াও তাঁর দেখভাল করছেন বিভিন্ন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, পালমোনোলজিস্ট এবং অন্যান্যরা।