
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভায় তিনি যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তা অনেক বড় তৃণমূলকর্মীরও হয়তো জানা ছিল না। কিন্তু এসএসসি দুর্নীতি, তাঁর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করা, সিবিআই তদন্ত, বর্ধমানে নেমে কোচবিহারে ফিরে যাওয়া, পরপর তিন দিন সিবিআই দফতরে দফায় দফায় জেরা—পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari) মোটামুটি এখন সবাই চেনেন। মঙ্গলবারের বারবেলায় কলকাতা থেকে কোচবিহার পৌঁছলেন মন্ত্রী। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মেখলিগঞ্জ যাওয়ার পথে দেখা গেল জায়গায় জায়গায় রাস্তার দু’ধারে মানুষের জমায়েত, ‘ওই যে মন্ত্রী আসছেন।’
পরেশ (Paresh Adhikari) মেখলিগঞ্জে ঢোকার আগে তাঁকে বরণ করে নিতে হাজির ছিল কয়েকশ বাইক। সেই বাইক মিছিলের সামনে সামনে মেখলিগঞ্জের একটি হলে পৌঁছন শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী। সেখানেও ঠাসা জমায়েত। গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে নিজের এলাকায় স্বাগত জানানোর কর্মসূচি সারল তৃণমূল।
চব্বিশের ভোটে কংগ্রেসের কৌশলী কানুগোলু, চল্লিশ বছরও বয়স হয়নি প্রশান্ত কিশোরের এই প্রাক্তন সহযোগীর
এদিন কোচবিহারে পরেশ জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর কলকাতায় যাওয়ার বিষয় নেই। তিনি জেলাতেই থাকবেন এবং দলীয় কর্মসূচি করবেন। হলদিবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত পরেশকে নিয়ে তৃণমূলের বাইক মিছিলে ছিল যুদ্ধ জয়ের আনন্দ।
পরেশের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, সিবিআই আপাতত হাজিরা দেওয়ার কথা বলেনি। দাদা তদন্ত এজেন্সিকে জানিয়েই জেলায় ফিরেছেন। তবে এও ঠিক, আবার কখন তলব করা হবে তা এখনই বলা যাবে না। যেমন গত সপ্তাহে অনুব্রত মণ্ডল যেদিন বীরভূমের বাড়িতে ফিরলেন ঠিক তার পরের দিনই নোটিস পাঠিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন শারীরিক কারণ দেখিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত। এখন দেখার পরেশ আবার কবে ডাকে সিবিআই। সেই ডাকে পরেশ সাড়া দেন কি না।