
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) দলকে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) চ্যাম্পিয়ন করে হাওয়ায় ভাসছেন চন্দ্রকান্ত পন্ডিত (Chandrakant Pandit)। ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এই নিয়ে মোট ছয়বার রঞ্জি জয়ী দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেন। তাঁকে বলা হচ্ছে ভারতের প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটের চাণক্য। তাঁর কোচিং মগজাস্ত্রে বিপক্ষ দল ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে।
তিনি তারকার পিছনে ছুটতে ভালবাসেন না, বরং অনামীদের তারকা বানানোই তাঁর বেশি পছন্দের। সব থেকে বড় কথা, ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সাফল্য পাওয়ার পরে মধ্যপ্রদেশের হেডস্যারের কোচিং মডেলকে বলা হচ্ছে, পন্ডিত মডেল। যিনি এর আগে তিনবার মুম্বই দলকে কোচ হিসেবে রঞ্জি এনে দিয়েছেন, দু’বার রঞ্জি সেরা করেছেন বিদর্ভকে। এবার মধ্যপ্রদেশকে চ্যাম্পিয়ন করে আরও কৃতিত্ব পেয়েছেন।
অলিম্পিকে ও বিশ্বকাপে পদকজয়ী হকি কিংবদন্তি বারিন্দার সিং প্রয়াত
পন্ডিত ১৯৯৯ সালে ক্রিকেটার হিসেবে মধ্যপ্রদেশকে রঞ্জি ট্রফি এনে দিতে পারেননি। সেই ক্ষত মিটল কোচ হিসেবে ট্রফি এনে দিতে পেরেছেন বলে। সেই কারণেই বলেছেন, এবারের ট্রফি জয় আমার কাছে স্পেশাল হয়ে থাকবে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এত সাফল্যের পরেও তাঁকে কেন আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি দলগুলিতে দেখা যাচ্ছে না। এই প্রশ্নও সমানভাবে উঠেছে। তার জবাব দিতে গিয়ে চন্দ্রকান্ত পন্ডিত জানান, ‘‘আমাকে ২০১২ সালে কেকেআরের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। আমি সেই মতোই মুম্বইতে শাহরুখ খানের বাড়িতে দেখাও করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনি আমাকে একজন বিদেশী কোচের সহকারী হতে বলেছিলেন। তাতে আমি রাজি হতে পারিনি। একক দায়িত্ব পেলে হয়তো ভেবে দেখতাম।’’
মধ্যপ্রদেশ কোচ এও বলেছেন, ‘‘আইপিএলের আগে কাউকে ফোন করলে হয়তো কোনও না কোনও দলের সহকারী কোচ হতে পারতাম। কিন্তু আমি চাইনি, এটা আমার ধাতেও নেই। বরং রঞ্জি দলকে কোচিং করিয়ে বেশি তৃপ্তি পাই।’’