
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সব ঠিক থাকলে তাহলে আর এক বছর পর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। সাধারণত মে মাসেই রাজ্য জুড়ে হয় এই নির্বাচন। তাই এখন রাজ্যের শাসক দলের কাছে পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের বেশিরভাগ পঞ্চায়েত এখন তৃণমূলের দখলে। তাই এই এক বছরে উন্নয়ের ওপর জোর দিয়ে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পঞ্চায়েতের (Panchayet Election) সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বাস্তবায়িত ও তদারক করার জন্য প্রত্যেক জেলায় একজন করে আইএএস অফিসার নিয়োগ করল নবান্ন। ২৩টি জেলার জন্য ২১ জন আইএএস পদমর্যাদার অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জন্য একজনই আমলা নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রধানত, পঞ্চায়েত এলাকায় নজরদারি চালাবেন এইসব অফিসাররা। উন্নয়ন কোথাও থমকে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। এমনকি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সাধারণ মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তাও দেখবেন। উন্নয়নের খাতে বরাদ্দ টাকা খরচ হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ও নজরে থাকবে এই পদস্থ অফিসারদের। উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচিরও তদারকি করবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শেষ জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় তা দেখার জন্য আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে।
পাশাপাশি ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি যাতে সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয় তা দেখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এবার দেখা গেল সময় নষ্ট না করে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মীবর্গ দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ২৩ টি জেলার জন্য ২১ জন পদস্থ আমলাকে নিযুক্ত করেছে নবান্ন। নবান্নের এক কর্তার কথায়, এই অফিসারের ভূমিকা হবে অনেকটাই চৌকিদারের মতো। তাঁরা উন্নয়নমূলক কাছে চৌকিদারের ভূমিকা পালন করবেন। কোথাও গরমিল, সমস্যা দেখলে পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন দফতর ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তাঁরা।