
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভারতে একটিও রাফায়েল বিমান এসে পৌঁছয়নি এখনও। এর মধ্যে জানা গেল, পাকিস্তানের বিমানচালকরা রাফায়েল চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ওই বিমান সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা আছে তাদের। দিল্লি থেকে বার বার বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক রাফায়েল বিমান পেলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অজেয় হয়ে উঠবে। কিন্তু পাকিস্তানের পাইলটরা আগেই ওই বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেলেছে শুনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নানা মহলে।
পাকিস্তানের পাইলটরা কাতারে গিয়ে রাফায়েল বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে। পাকিস্তানের সেনাকর্মীরা প্রায়ই পশ্চিম এশিয়ার নানা দেশে গিয়ে সেখানকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন। কাতার ২০১৫ সালে রাফায়েল বিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের দাসো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। প্রথম দফায় তারা ২৪ টি বিমানের জন্য অর্ডার দিয়েছিল। তার মুল্য ছিল ৬৩০ কোটি ইউরো। ২০১৭ সালের অক্টোবরে তাদের বিমানগুলি ডেলিভারি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তারা আরও ১২ টি রাফায়েল বিমানের জন্য অর্ডার দেয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরেই কয়েকজন পাকিস্তানি পাইলটকে কাতারের বায়ুসেনা রাফায়েল বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের এক নিউজ পোর্টালে জানানো হয়, কাতার আমির এয়ার ফোর্সের প্রধান ইসলামাবাদে পাকিস্তানের এয়ার ফোর্সের সদর দফতরে আসেন। পাকিস্তানকে সবরকম সাহায্য ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
আগামী সেপ্টেম্বরে প্রথম দফায় কয়েকটি রাফায়েল বিমান পাবে ভারত। এদেশের পাইলটদের সুবিধামতো সেই বিমানগুলির যন্ত্রপাতিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে বিমানের মূল যন্ত্রাংশগুলি একই থাকছে। বিমানে আরবিই-টু নামে একটি রেডার আছে। তার সাহায্যে পাইলট আকাশে ও মাটিতে একইসঙ্গে একাধিক লক্ষে আঘাত করতে পারে। কাতার যে রাফায়েল বিমানগুলি পেয়েছে, তাতেও ওই রেডারগুলি রয়েছে। ওই বিমানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ফলে পাকিস্তানি পাইলটরা জানতে পারবে, ভারতের বিমান কতদূর পর্যন্ত আঘাত হানতে পারবে।
ভারতের বায়ুসেনার প্রাক্তন পাইলট অংশুমান মৈনকর বলেন, পাকিস্তানের পাইলটরা জানতে পারবে কীভাবে ভারতের বিমানের ওয়েপন সিস্টেম কাজ করে।
ভারত মোট ৭৮০ কোটি ইউরো দিয়ে রাফায়েল বিমানগুলি কিনছে। এআইএন অনলাইন নামে এক নিউজ পোর্টালে জানানো হয়, পাকিস্তানের পাইলটদের ওই বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তার পরে দাসো কোম্পানির সদর দফতরে এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।