
সিবিআই এদিন বিচারক অজয় কুমার কুহারকে বলে, প্রাক্তন মন্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তদন্ত এখনও শেষও হয়নি। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে তবেই সত্যিটা জানা যাবে।
সোমবার প্রথমেই সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কার মুখে পড়েন চিদম্বরম। সিবিআই কাস্টডির বিরুদ্ধে তিনি যে আবেদন করেছিলেন, তা সুপ্রিম কোর্টে এদিন শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়নি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আইনজীবী কপিল সিব্বল বিচারপতি ভানুমতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে বলেন, শুক্রবার শুনানির সময় তাঁদের বলা হয়েছিল, সোমবার আর্জি শোনা হবে। কিন্তু এদিন সেই আর্জি নথিভুক্ত করা হয়নি। বেঞ্চ তাঁকে বলে, নথিভুক্ত কবে করা হবে, তা সপ্তাহ শেষের শুনানিতে স্থির করা সম্ভব নয়। সরকার পক্ষের কৌঁসুলি তুষার মেহতা অবশ্য বলেন, চিদম্বরমের আইনজীবীরা যদি এসম্পর্কে বক্তব্য পেশ করেন, তাঁর আপত্তি নেই।
২১ অগস্ট দিল্লির জোড়বাগে চিদম্বরমের বাড়ি থেকে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। তার আগে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়। চিদম্বরম হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তাঁর আর্জি ছিল সর্বোচ্চ আদালত জরুরি ভিত্তিতে তাঁর পিটিশন শুনুক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রাজি হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালত চিদম্বরমকে সিবিআই হেপাজতে পাঠায়। ৭৩ বছর বয়সী প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০০৭ সালে বেআইনিভাবে আইএনএক্স মিডিয়া নামে এক সংস্থাকে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন। ওই সংস্থার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে কার্তি। আইএনএক্স মামলায় গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন কার্তি।