
ঘটনার রাতে হাসপাতালের কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোগীদের পরিবার উদ্বেগে ছটফট করছে। অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন রোগীরা। পরিবারের লোকজন বলছেন, অন্তত ৩০ মিনিট হয়ে গেল অক্সিজেন নেই। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ স্বীকার করছে না বলেও ওই ভিডিও ফুটেজে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
এক মহিলাকে বলতে শোনা যায়, “সকাল থেকে আমার বাচ্চার স্যাচুরেশন ৯৪। হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল অক্সিজেন। ও কষ্ট পাচ্ছে। কোনও ডাক্তার কোনও কথা শুনছেন না, সাহায্য করছেন না!” একই অভিযোগ করেন আরও এক রোগী পরিবারের সদস্যও। তিনি বলেন, “অন্তত চার জন চোখের সামনে মারা যাচ্ছেন। হাসপাতাল কিছু করছে না।”
বারওয়ানি জেলার উপ-জেলাশাসক লোকেশ কুমার জঙ্গিদ স্বীকার করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন নিয়ে অভিযোগ পেয়েছিল শনিবার। সেন্ট্রাল পাইপলাইনে অক্সিজেনের জোগান পর্যাপ্ত ছিল না ওইদিন। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের লোকজন পৌঁছে যায়, অক্সিজেন চালু করেন তখনই। অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যু হয়নি। একজনই মারা যান কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে।”