
এদিন লোকসভার অধিবেশন বসার আগেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। বিরোধী দলের এমপিরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে লোকসভার বাইরে ধর্নায় বসে পড়েন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে ভারতীয় নাগরিকদের নাম নেই কেন?
১৯৫১ সালে অসমে প্রথম জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা হয়। রাজ্যে কারা ভারতীয় এবং কারা তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন, জানার জন্য ওই পঞ্জি প্রস্তুত হয়েছিল। সেই পঞ্জি নতুন করে তৈরি শুরু হয় ২০১৫ সাল থেকে। সোমবার খসড়া জাতীয় নাগরিক পঞ্জি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অসমে বসবাসকারী ৪০ লক্ষ মানুষের নাম নেই।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বলেছে, এই পঞ্জি চূড়ান্ত নয়। যে ৪০ লক্ষের নাম তালিকায় নেই, তাঁদের যে এক্ষুণি দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না । যাঁদের নাম ভুল করে বাদ গিয়েছে তাঁরা নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণের যথেষ্ট সুযোগ পাবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিরোধী দলগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করবেন না। নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া সরকার কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার ওই পঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, অসমে বাঙালি খেদাওয়ের ষড়যন্ত্র চলছে। কংগ্রেসেরও বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার ‘ডিভাইড ওয়ানডে রুল’ নীতিতে চলছে। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির নামে অসমের মুসলমানদের বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করতে চায়।
মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষেও বিরোধীরা একই অভিযোগ করেন।