Latest News

সাতশোজন পড়ুয়ার জন্য মাত্র ৫ কেজি আলু! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সবর অভিভাবকরা

দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা সাতশো! কিন্তু সবার পেট ভরার মতো রান্নার সামগ্রী আসে না। মিডডে মিল ( Midday Meal ) নিয়ে এমনই অভিযোগে সরব হলেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, হেড স্যারের ( Headmaster )বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুললেন তাঁরা।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত মধ্যেই রয়েছে খরমপুর হাইস্কুল। অভিভাবকদের দাবি, স্কুলের পড়াশোনার মান ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এর জন্য একমাত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষকই দায়ী। তাঁদের অভিযোগ, হেড স্যার স্কুলে দলবাজি করছেন। স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছেন।

অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, ক্লাস ফাইভ থেকে টেন পর্যন্ত মোট সাতশোজন পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু মিডডে মিল রান্নার জন্য প্রতিদিন ছ’শো গ্রাম তেল ও পাঁচ কেজি আলু আনা হয়। তাতে পেট ভরে না পড়ুয়াদের। উল্টে রান্নায় যে আলু ব্যবহার হয়, তাও বেশিরভাগ সময় পচা থাকে। স্কুলের হেড স্যারের নির্দেশে স্কুলের বাগান ছেঁটে তৈরি হচ্ছে নতুন বিল্ডিং। তাই খোঁড়াখুড়ি চলছে সেখানে। ফলে বিপদজনক হয়ে উঠেছে জায়গাটি। পড়ুয়ারা বাগানে খেলতে যেতেও পারছে না।

কাজ করিয়ে পয়সা দিচ্ছে না!’ আশাকর্মীদের তুমুল বিক্ষোভ স্বাস্থ্য ভবনের দুয়ারে

যদিও এই সমস্ত ঘটনার কথাই নিজের দায় নিতে অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরূপ ঘোষ। তিনি জানান, বিডিও অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী স্কুলের বাগানে একটি নতুন বিল্ডিং তোলা হচ্ছে। বিডিও অফিস বিষয়টি বন্ধ করা নির্দেশ দিলে তিনি কাজ বন্ধ করিয়ে দেবেন। এছাড়া নিম্নমানের মিডডে মিল নিয়ে যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে তার পুরোপুরি মিথ্যে। পড়ুয়ারা তিনদিন করে মুরগীর মাংস-ভাত পাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষকের অপারেশনের দাবি জানিয়েছন গ্রামবাসীরা। তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

You might also like