
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি (bjp) ও নরেন্দ্র মোদী (modi) বিরোধী জোটের (face) (alliance) মুখ হয়ে ওঠার চেষ্টায় জাতীয় রাজনীতিতে পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(mamata)। কংগ্রেস (congress) নয়, মমতাই রুখতে পারেন মোদিকে, দাবি করছে তৃণমূল (tmc)। আজ প্রবীণ এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র অস্তিত্ব, প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। দিনকয়েক আগে রাজধানী সফরেও তিনি সনিয়া গান্ধীর (sonia) সঙ্গে দেখা করেননি। বিরোধী শিবিরের একাংশের অভিযোগ, মমতা কংগ্রেসকে ভাঙানোর খেলায় নেমেছেন। মেঘালয়ে মুকুল সাংমা সহ ১২ কংগ্রেস বিধায়কের সাম্প্রতিক তৃণমূলে যোগদান যার প্রমাণ। তার আগে গোয়াতেও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, তারা কংগ্রেস ভাঙাচ্ছে না। কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে মোদীকে ঠেকানো যাবে না বুঝেই হাত ছেড়ে ঘাসফুলে আসছেন শতাব্দীপ্রাচীন দলের নেতারা। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার মমতা নাম না করে রাহুল গান্ধীকে (rahul) নিশানা করলেন বলে তাঁর এক মন্তব্যের অর্থ করা হচ্ছে।
কী বলেছেন মমতা? মমতার দাবি, কেউ কোনও কিছু না করে বেশিরভাগ সময় বিদেশে পড়ে থাকলে চলবে কী করে? আমি কংগ্রেসকে অনেকবার একটা এক্সপার্ট কমিটি গড়ার কথা বলেছি। ওই কমিটি আমাদের পথ দেখাবে। কিন্তু কংগ্রেস শোনেইনি। বিদ্বজনেদের সভায় মমতা আরও বলেন, আমরা চাই, দেশব্যাপী একটা নাগরিক সমাজ তৈরি করুন আপনারা। আমাদের কী করতে হবে বলুন। কোনও নির্দোষ লোক জেলে পড়ে থাকলে তাঁকে বের করে আনার চেষ্টা করতে পারি আমরা।
মমতার বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে সব ঠিক আছে, কিন্তু সারা দেশে বিরোধীদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে। সব আঞ্চলিক দল এককাট্টা হলেই বিজেপিকে বিদায় নিতে হবে। ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানও দেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে মমতা জানিয়ে দেন, আমরা যেখানে যেখানে আঞ্চলিক পার্টিরা ভাল করছে, সেখানে যাব না। আমাদের আঞ্চলিক সতীর্থদের পাশে থাকব আমরা।