
সুশীল চন্দ্র বলেন, “ভোটের দিন ঘোষণা এবং আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পরেই আমরা সবকিছুর দায়িত্ব নিই। তার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব নিতে হয় রাজ্য সরকারকে। রাজ্যকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পরামর্শ মেনে কাজ করতে হয়।” পরে তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে স্বাস্থ্যসচিব এবং অন্যান্য অফিসারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ভোট ঘোষণা করার পরে আমরা নিশ্চয় নির্দেশিকা জারি করব।” এদিন তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের সব দলই বলেছে, কোভিড বিধি মেনে নির্বাচন হোক যথাসময়েই। রাজনীতিকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, জনসভায় কোভিড বিধি ভঙ্গ করা হচ্ছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুশীল চন্দ্র। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যে এবার বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১ হাজার। ভোটের সময়ও বাড়ানো হয়েছে এক ঘণ্টা। এছাড়া আরও কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করবে কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের সম্মুখ সারির কর্মীদের অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাছাড়া প্রত্যেক ভোটার যাতে ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ নেন, তাও রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে একইসঙ্গে সুশীল চন্দ্র জানিয়ে দেন, কেউ ভ্যাকসিন না নিলেও ভোট দিতে পারবেন। তাঁর কথায়, “উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের অফিসাররা আমাদের বলেছেন, রাজ্যের বাসিন্দাদের ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। রাজ্যে মাত্র চারজনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে।”