
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ডিসেম্বরে কোভিডের (Covid) ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের (Omicron Variant) জন্য মুম্বই থার্ড ওয়েভের (Third Wave) কবলে পড়ে। ওই সময় শহরের বাসিন্দাদের শরীর থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার ৯৫ শতাংশের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ওই ভ্যারিয়ান্ট। সোমবার এই খবর জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। তাদের এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোট ১৯০ টি কোভিড নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৮০ টিতে ওমিক্রনের অস্তিত্ব লক্ষ করা গিয়েছে। যে ১৯০ জনের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ২৩ জন মারা গিয়েছেন। মৃতদের ২১ জনই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ডিসেম্বরের শেষে ২৮০ টি কোভিড নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়। তার মধ্যে ২৪৮ টিতে ওমিক্রনের অস্তিত্ব লক্ষ করা গিয়েছিল। প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নবম দফায় ২৮২ টি কোভিড নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৯০ টি নমুনা নেওয়া হয়েছিল মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের দেহ থেকে। বাকি নমুনাগুলি মহারাষ্ট্রের অন্যান্য প্রান্ত থেকে নেওয়া হয়েছিল। মুম্বইয়ের যে কোভিড রোগীদের থেকে নমুনা নেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে ৭৪ জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৮০-র মধ্যে। ৪১ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৬০-এর মধ্যে। ৩৬ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৪০-এর মধ্যে। ২২ জনের বয়স ছিল ৮১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। ১৩ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। তাদের মধ্যে ১১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিল।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, যে ১৯০ জনের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অর্থাৎ তাঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কোভিডের একটি ডোজ নিয়েছিলেন। ৫০ জন নিয়েছিলেন দু’টি ডোজ। ৫১ জন একটিও ডোজ নেননি।
১০৬ জনের মধ্যে ন’জনকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছিল। ১১ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল আইসিইউতে। ১০৬ জনের মধ্যে ২৩ জন মারা গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০-এর ওপরে। তাঁদের অন্যান্য রোগও ছিল। ২২ জন কোভিড রোগী সংক্রমণের সাতদিনের মধ্যে মারা যান। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন শহরের বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ কমলেও সকলে যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন।