
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ে ধরিয়ে দিল বাবার খুনিকে। পুলিশকে জানিয়ে দিল, বাবা আত্মঘাতী (Suicide) হননি, তার মাই খুন করেছে বাবাকে (Nurse Allegedly Kills Husband)। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার বিবাহবহির্ভূত প্রেমিককেও। এই খুনে তারও ভূমিকা ছিল বলে তদন্তে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, পেশায় নার্স কবিতা ও তার স্বামী মহেশের প্রবল ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল ২৯ নভেম্বর। ওই রাতেই স্বামীর অচেতন দেহ হাসপাতালে নিয়ে যয়া কবিতা, জানায়, গলায় কম্বল পেঁচিয়ে সিলিংফ্যান থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে তার স্বামী। ওই হাসপাতালেই সে নার্স হিসেবে কাজ করত।
আত্মহত্যার কোনও ঘটনায় যা নিয়ম, তা মেনেই হাসপাতালের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তেও। রিপোর্টে দেখা যায়, মৃতের গলায় শ্বাসরোধ করার মতো আঙুলের দাগ রয়েছে। এর পরেই পুলিশের সন্দেহ হয়, ঘটনাটি হয়তো নিছক আত্মহত্যার নয়।
নিয়মমাফিক তদন্ত শুরু করে পুলিশ জেরা করা হয় কবিতা ও তার মেয়েকে। সেই সময়েই ১৩ বছরের মেয়ে পুলিশকে জানায়, তার মা বাবার মুখটা জাানলার বাইরে বার করে গলা চেপে ধরে রয়েছে, এমনটা দেখেছে সে।
কবিতা অবশ্য প্রথমে এসব কিছুই স্বীকার করেনি। সে পুলিশকে বলে, মহেশ প্রায় রোজই মদ খেয়ে এসে তাকে মারধর করত। তবে জেরার মুখে শেষমেশ ভেঙে পড়ে সে। জানা যায়, ২৯ নভেম্বর রাতে ঝগড়াঝাঁটির পরে ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমের মধ্যেই শ্বাসরোধ করে মহেশকে মারে সে। তার পরে সেই দেহ নিয়ে যায় হাসপাতালে, আত্মহত্যার কথা বলে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, যে হাসপাতালে কবিতা কাজ করত, সেখানকারই বিমা বিভাগের এক কর্মী বিনয় শর্মার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। বিনয়ের সঙ্গে মিলেই মহেশকে খুন করার ছক কষেছিল সে। খুনের পরিকল্পনার সপক্ষে বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং কল রেকর্ডিং হাতে পেয়েছে পুলিশ।
ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় নাম ছিল, অবসাদে আত্মঘাতী হলেন নন্দীগ্রামের শিক্ষিকা