
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, যাঁরা জনতাকে আগুন লাগাতে বলেন, তাঁরা আর যাই হোন, নেতা নন। ওই মন্তব্যের জন্য শনিবার সেনাপ্রধানকে চড়া সুরে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেন, এই ব্যাপার থেকে সেনাপ্রধান দূরে থাকলেই ভাল হয়।
তিরুঅনন্তপুরমে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী জনসভায় তিনি বলেন, “রাজনীতিকরা কী করবেন, তা বলা সেনাবাহিনীর কাজ নয়। ঠিক যেমন আমাদের কাজ নয় সেনাবাহিনীকে বলা, কীভাবে লড়াই করতে হবে। আপনারা নিজেদের ধারণা অনুযায়ী যুদ্ধ করেন। আমরা নিজেদের ধারণা অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার সামলাই।”
মোদী সরকারের সমালোচনা করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, উদ্বেগের বিষয় হল, জেনারেল রাওয়াতের মতো শীর্ষস্থানীয় অফিসারকে দিয়েও এখন মিথ্যা বলানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “এখন আর্মি জেনারেলকে দিয়েও মন্তব্য করানো হচ্ছে। এটা কি তাঁর কাজ? যা ঘটছে তা খুবই লজ্জার বিষয়।” পরে তিনি বলেন, “আমি জেনারেল রাওয়াতের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তা হিসাবে আপনি নিজের কাজটা করুন। রাজনীতিকদের যা করণীয় তা তাদের করতে দিন।”
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের সমর্থন করে তিনি বলেন, “ভারতের ছাত্র ও যুবকরা বুঝতে পেরেছেন, নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের পক্ষে গুরুতর বিপদ। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি যৌথভাবে মুসলিমদের পক্ষে ক্ষতিকারক। ওই আইন অসাংবিধানিক। আমি নিশ্চিত, সুপ্রিম কোর্ট এই আইন নাকচ করে দেবে।”
গত বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “নেতৃত্ব দেওয়া এত সহজ কাজ নয়। কারণ যখনই আপনি কোনও দিকে যাবেন, সবাই আপনাকে অনুসরণ করবে। দেখে মনে হয় নেতৃত্ব দেওয়া খুব সহজ কাজ। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও অত সহজ নয়।” তারপরেই একজন লিডারের কী করা উচিত, তা নিয়ে মন্তব্য করেন রাওয়াত। তিনি বলেন, “তাঁরাই নেতা, যাঁরা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে যান। কিন্তু যাঁরা মানুষকে ভুল বোঝান, তাঁরা কখনওই লিডার হওয়ার যোগ্য নন। আমরা দেখছি হাজার হাজার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হিংসার দিকে যাচ্ছে তারা। আগুন জ্বলছে। সংঘর্ষ হচ্ছে। যাঁরা এটা করছেন তাঁরা লিডার নন।”