
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অস্ত্রোপচারের নাম শুনলে ভয় লাগে না, এমন মানুষ কমই আছে। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরও, সেখানে শিশুরা যে ভয় পাবে, কান্নাকাটি করবে তা তো বলাই বাহুল্য। ছোট্ট মানুষদের সেই ভয় কাটাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তুরস্কের একটি হাসপাতাল। শিশুদের অস্ত্রোপচার কক্ষে (surgery room) নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করেছে তারা (Hospital Uses Electric Cars), যা নিজেরাই চালাতে পারবে খুদে রোগীরা।
ব্যাটারিচালিত এই গাড়িগুলি এমনিতে যে কোনও শপিং মলে গেলেই দেখা যায়। বাইক কিংবা চার চাকার ছোট্ট গাড়িতে চেপে দারুণ মজা পায় শিশুরা। সেই একই রকম গাড়িতে করে শিশু রোগীদের অস্ত্রপাচার পক্ষে নিয়ে যান তুরস্কের কেসেরি প্রদেশের একটি ক্যান্সার হাসপাতালের কর্মীরা। দেশটির বেশ কিছু পরোপকারী মানুষ এবং অ্যাসোসিয়েশন এগেন্ট ক্যান্সার (KANKA)-এর উদ্যোগে এই হাসপাতালটিতে (oncology hospital in Turkey) ক্যান্সার-আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা এবং অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুরা ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলি (electric cars for children) নিজেরাই চালিয়ে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যায়। করিডোরে তাদের গাড়ি চালিয়ে ঘোরার একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের কর্মীরাও শিশুদের সেই গাড়ি চালাতে সাহায্য করছেন।
(VIDEO) Turkish hospital gives children electric cars to drive to cancer treatment
— ANADOLU AGENCY (@anadoluagency) February 1, 2023
At a hospital in Turkish city of Kayseri, children with cancer can get on mini battery-operated cars, instead of a stretcher, to go to their treatment room pic.twitter.com/0GjmsKeTac
টুইটারে পোস্ট করা সেই ভিডিওটি দেখে হাসপাতালের এমন অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীরা। পেডিয়াট্রিক অঙ্কোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মুসা কারাকুর্ককু জানিয়েছেন, যখন এই ব্যবস্থা ছিল না, তখন হাসপাতালে যেসব শিশুরা চিকিৎসার জন্য আসত, তাদের অনেকেই কান্নাকাটি করত। কেউ বা অস্ত্রোপচার কক্ষে যাওয়ার আগে রীতিমতো হাত-পা ছুড়তে শুরু করত। ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুদের জোর করে স্ট্রেচারে তুলে চিকিৎসার ঘরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভাল লাগত না হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারপরেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
‘আমরা চাই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের কাছে এটা যেন খেলার মাঠ হয়ে ওঠে। যেসব শিশুরা মনোবিদের সাহায্য নিচ্ছে, আমরা চেষ্টা করছি তাদের কষ্ট যতটা সম্ভব কমানো যায়,’ জানিয়েছেন চিকিৎসক মুসা।
গায়ে পরা যায়, খাওয়াও যায়! বিশালাকার কেক-ড্রেস বানিয়ে গিনেস বুকে নাম তুললেন তরুণী