
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার জম্মু থেকে কাশ্মীরে ঢুকছিল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। কিন্তু নির্ধারিত স্পটের আগেই যাত্রা থামিয়ে দেন রাহুল। অভিযোগ ওঠে, কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছিল। রাতে তা নিয়ে টুইট করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu and kashmir police) তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, রাহুল হাঁটতেই পারতেন। কেন নির্ধারিত জায়গার আগে থামিয়ে দেওয়া হল তা তারা জানে না। এ ব্যাপারে সংগঠকরা পুলিশের সঙ্গে কোনও আলোচনাও করেননি।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাহুলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল। বাকি এক কিলোমিটার পথ তিনি হাঁটতেই পারতেন। আরও দাবি করা হয়েছে, রাহুলের নিরাপত্তা বলয়ের সামনের কর্ডনে ১৫ কোম্পানি সিএপিএফ এবং ১০ কোম্পানি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ছিল।
শুক্রবার জম্মু থেকে কাশ্মীরে ঢুকছিল রাহুলের যাত্রা। বানিহাল টানেল পেরনোর আগেই নাকি কয়েকশো মানুষের ভিড় ধেয়ে আসে রাহুলের দিকে। নিরাপত্তাবলয়ের সামনের কর্ডনে পুলিশের যে ব্যারিকেড থাকে তা নাকি ভ্যানিশ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খান রাহুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা। এরপর নির্ধারিত জায়গার আগে হাঁটা থামিয়ে দেন রাহুল।
শুক্রবার রাহুলের সঙ্গে হেঁটেছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনিও টুইট করে লেখেন, ‘আজ যা হয়েছে তা আমি চাক্ষুষ করেছি। হঠাৎ দেখলাম ভিড় এগিয়ে আসছে। সামনের যে ব্যারিকেড তা মিনিট খানেকের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিল।’ ফারুক আবদুল্লার ছেলে জানিয়েছেন, ওই ব্যারিকেডের দায়িত্বে ছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
ডিসেম্বরে কংগ্রেসের তরফে যখন রাহুলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখেছিল তখন সিআইএসএফ জানায়, রাহুলই কোনও কোনও জায়গায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গাইডলাইন মানছেন না। সেই কারণেই বিপত্তি হচ্ছে। শুক্রবার রাহুল বলেন, ‘আমি চাইনি আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদের উপর কোনও শাস্তি নেমে আসুক। তাই আজকের মতো নির্ধারিত স্পটের আগেই হাঁটা থামাতে হয়।’ তবে সেই দাবি ওড়াল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
তৃণমূলের লাল কার্ড দেখা সুবল গেলেন বিজেপিতে, সিপিএম বিধায়কও শামিল গেরুয়া শিবিরে