
তিনি ডেল্টা ভাইরাসে আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, দুটো ভ্যাকসিনই নিয়েছেন, তারপরও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পজিটিভ হন। সেই তিনি বলছেন, ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টায় সংক্রমিত হয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি।
কর্নাটকে বেশ কয়েকজনের ওমিক্রন সংক্রমণের খবর মিলেছে।
গত ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরা ব্যক্তি বলেছেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ওখানে গিয়েছিলাম। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু নিভৃতাবাসের তৃতীয় দিনে গলা চুলকোতে থাকে। কাশি শুরু হয়। বেসরকারি ল্যাবে ফের আরটি-পিসিআর টেস্ট করাই। এবার রেজাল্ট পজিটিভ আসে। পরে জেনােম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি ভয় না পেয়ে নির্দিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেই তিনি নিভৃতাবাসে ছিলেন। ফলে পরিবারের বাকি কারও সংক্রমণ হয়নি। বিদেশ থেকে ফিরেই সবার আলাদা থাকা, কোয়ারান্টিন গাইডলাইন মানা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, উপসর্গ দেখা গেলেই সময় নষ্ট না করে পরীক্ষা করিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এটুকু করা গেলেই আমরা সংক্রমণ প্রতিবেশীদের মধ্যে ছড়ানো রুখতে পারব।
রাজ্যে ৪৬ বছর বয়সি যে ডাক্তারের ওমিক্রন ধরা পড়েছিল, তিনিও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁর বিদেশ যাত্রার কোনও ব্যাপারই ছিল না। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়েকে নিয়ে ১৪ দিন সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তাঁর দুবার টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হয়। প্রতিরোধ শক্তি কম থাকায় তিনি সংক্রমিত হন, বারবার টেস্টের রিপোর্টও পজিটিভ আসছিল।