
উল্লেখ্য, দশম শ্রেণির পরীক্ষা আগেই বাতিল করে দিয়েছে সিবিএসই। গত ১৪ এপ্রিল বোর্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ১ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, এর মধ্যেই পরীক্ষার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ তা ঘোষণা করা হল।
এদিনের আলোচনার শুরুতে সরকারি আধিকারিকেরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিভিন্ন রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে আসা একগুচ্ছ প্রস্তাব তুলে ধরেন। বস্তুত, এর আগে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে যে মিটিং বসেছিল, তাতে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। দিল্লি কিংবা মহারাষ্ট্র একদিকে যেমন পরীক্ষা বাতিলের হয়ে সওয়াল করেছিল। তেমনই তামিলনাড়ু, কেরলের তরফে পরীক্ষা পিছনোর প্রস্তাব রাখা হয়।
ঐক্যমত্যে পৌঁছতে না পেরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক সমস্ত রাজ্যকে নিজেদের মতামত লিখিত আকারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন সেগুলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাজির করা হয়।
সবদিক বিচার করে শেষমেশ তিনি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষ বারবার কোভিডের কারণে ব্যাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং তাদের বাবা-মা— সবার মধ্যেই একটা আতঙ্কের পরিবেশ দানা বেঁধেছিল। তা নিরসন করতেই বাতিলের পথ বেছে নিতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অতিমারী দেশের বিভিন্ন অংশে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলেছে। কোথাও ইতিমধ্যে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। তো কোথাও লকডাউন জারি আছে। আবার বেশ কিছু রাজ্য মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করেও কোভিডের মোকাবিলা করছে। স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকরা সন্তানদের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কখনওই জোর করে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করাটা ঠিক নয় বলে মত নরেন্দ্র মোদীর।
এর পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, সমস্ত পক্ষকে বিষয়টি সহানুভূতি দিয়ে বিচার করতে হবে। অতিমারীর আবহে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই রাজ্যগুলির একমত হওয়াটা জরুরি।
অন্যদিকে পরীক্ষা না হলেও ফলাফল তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে, স্বচ্ছতার সঙ্গে সময়ের মধ্যে যাতে রেজাল্ট প্রকাশ করা যায়, তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।