
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত ১৬ মে-র পরে বিহারের রাতারাতি বিখ্যাত উঠেছে ১২ বছরের বালক সোনু। তার বাড়ি নালন্দা জেলার কল্যাণবিঘা গ্রামে। ১৬ মে তাদের গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish)। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ভিড়ের মধ্যে থেকে সোনু মুখ্যমন্ত্রীর (Nitish) উদ্দেশে বলছে, “শুন লিজিয়ে স্যার…”। কল্যাণবিঘা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সোনু নীতীশকে (Nitish) বলে, “হামকো আইএএস, আইপিএস বননা হ্যায়, সরকারি স্কুল মে পড়াই নেহি হোতি হ্যায়…।” অর্থাৎ সে বলেছিল, “আমি আইএএস, আইপিএস হতে চাই। কিন্তু সরকারি স্কুলে পড়াশোনা হয় না।”
নীতীশ কুমারের (Nitish) আমলে বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সোনু মুখ্যমন্ত্রীকে বলে, তার বাবা রণবিজয় যাদব মদ খেয়ে তাঁর উপার্জনের প্রায় সব টাকা উড়িয়ে দেন। তিনি দুধের ব্যবসা করেন।
সোনুর ওই মন্তব্যের পরে সরব হয়েছে বিভিন্ন বিরোধী দল। তারা বলেছে, সোনুর বয়স কম হলেও সে রাজ্যের দু’টি প্রধান সমস্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রথমত বিহারে সরকারি স্কুলগুলির অবস্থা সত্যিই খারাপ। দ্বিতীয়ত মদ নিষিদ্ধ করে কোনও লাভ হয়নি।
পাটনার এ এন সিং ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডি এম দিবাকর বলেন, “আমার উলঙ্গ রাজার গল্প মনে পড়ছে। গল্পে আছে, একমাত্র এক বালক সাহস করে বলেছিল, রাজা তোর কাপড় কোথায়?”
২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, এর ফলে অনেকের মদ্যপানের অভ্যাস পরিবর্তন করা যায়নি। বরং বিচার ব্যবস্থার ওপরে বাড়তি বোঝা চেপেছে। যদিও সরকারের দাবি, রাজ্যের মহিলারা মদ নিষিদ্ধ করার পক্ষে আছেন।
নীতীশের দল ইউনাইটেড জনতা দল বলেছে, তাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সরকারি স্কুলগুলির কিছু উন্নতি হয়েছে। তার আগে অবস্থা আরও খারাপ ছিল। বিধান পরিষদে ইউনাইটেড জনতা দলের নেতা নীরজা কুমার বলেন, “২০০৫ সালের আগে সরকারি স্কুলগুলির না ছিল বিল্ডিং না ছিলেন শিক্ষক। নীতীশ কুমারের আমলে স্কুলগুলির নিজস্ব বাড়ি তৈরি হয়েছে। শিক্ষকও নিয়োগ হয়েছে।” সোনু পরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছে, তাদের স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না। ক্লাসে ঠিকমতো পড়ানোও হয় না। তার কথায়, “যে শিক্ষক ক্লাসে ইংরেজি পড়ান, তিনি নিজেই ইংরেজি পড়তে পারেন না।”
আরও পড়ুন : স্কুল সার্ভিসের চেয়ারম্যান পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার