
২০১২ সালে নীরব মোদীর সঙ্গে হংকংয়ের এক অনুষ্ঠানে আলাপ হয় আলফানসোর। কিছুক্ষণ আলাপচারিতার পরই হিরে ব্যবসায়ী নীরবের সঙ্গে ভাব জমে। এরপর কেটে যায় অনেকগুলো বছর। হংকংয়ে প্রেমিকার সঙ্গে আংটি বদলের সিদ্ধান্ত নেন আলফানসো। দুজনেই সাজিয়ে গুছিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন বলে ঠিক করেন। আংটি কিনতে আলফানসো নীরবেরই দ্বারস্থ হন, ই-মেল করে নীরব মোদীর কাছে আংটি কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। ততদিনে নীরব মোদী যে সংবাদের শিরোনামে, তা জানতেন না আলফানসো।
শবরীমালা নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের মামলা আয়াপ্পা পূজারীদের
ই-মেলের জবাবও আসে তৎক্ষণাৎ। মোট ২০ লক্ষ ডলার দিয়ে নীরব মোদীর সংস্থার থেকে ২টি ৩.২ ক্যারেটের সলিড হীরের আংটি কেনেন। এপ্রিল মাসে পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর জুন মাসে হীরে হাতে পান আলফানসো। তারপরেই গল্পের মোড় অন্য দিকে ঘোরে, হীরের বিমা সংক্রান্ত কাগজ না মেলায় চিন্তা বাড়ে। মোদীকে বার বার ই-মেল করলেও সেই কাগজ হাতে পাননি আলফানসো। পরে, যাচাই করে দেখা যায় নীরবের থেকে নেওয়া ২টি হিরেই নকল। অগত্যা, আংটি বদল আটকে যায়।
হংকংয়ের একটি বড় বেসরকারি সংস্থায় এগজিকিউটিভ ম্যানেজারের পদে রয়েছেন আলফানসো। প্রচুর টাকা জলেই গেল তাঁর। তার পর থেকে আর কোনওদিনই নীরবকে ফোনে বা ই-মেলে পাননি তিনি।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১৩ হাজার কোটির জালিয়াতি করে নীরব এখন ফেরার। পিএনবিকে ঠকানোর অভিযোগে নীরব মোদী ও তাঁর কাকা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট। তাঁদের নামে ফৌজদারি মামলা হওয়ার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনে। সবটা জেনে নীরবের বিরুদ্ধে ক্যলিফোর্নিয়া আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন আলফানসো।