
শুক্রবার জেনেভাতে এই বক্তব্য রাখেন হু-র প্রধান। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসেই ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। অথচ প্রায় এক মাস পরে প্রথম সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসে। একই সময়ে চিনেও ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। অর্থাৎ এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু কেউ তা বুঝতেও পারেননি বলেই জানাচ্ছে হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখনও আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। অথচ তার মধ্যেই লকডাউনে শিথিলতা আনা হয়েছে। লকডাউনের ফলে হয়তো অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু একবার এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তখন অর্থনীতি, সমাজ সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বক্তব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
আধানম বলেন, “বিশ্ব এক নতুন ও আরও ভয়ঙ্কর দিকে এগোচ্ছে। অনেক মানুষ বাড়িতে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এখনও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।” ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ লাখের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষের।
এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। এটাই সবথেকে চিন্তার কথা। হু জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বের সব দেশের বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করলেও এখনও এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে কয়েক মাস লাগবে। কারণ, কোনও ভ্যাকসিনকে একাধিকবার ট্রায়াল করে দেখতে হচ্ছে। তাতে সময় লাগছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগেই বারবার বলেছে, এখনও করোনার হাত থেকে মুক্তি পায়নি বিশ্ব। তাই এখনই অধৈর্য হলে চলবে না। এই ভাইরাসের সংক্রমণ দূর করার সবথেকে ভাল উপায় হল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ভাইরাসের চেনকে থামাতে হবে। একবার তা করা সম্ভব হলে সংক্রমণ রোখা যাবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মানুষের অবহেলার ফলে সংক্রমণ কিছুটা কমার পর ফের তা ছড়াতে শুরু করছে।
এই পরিস্থিতিতে বারবার সব দেশের সরকারের কাছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবেদন করেছে, অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেও যতটা সম্ভব লকডাউন বজায় রাখতে। যতদিন না ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন এই কড়াকড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে হু। কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই তা মানা হচ্ছে না। আর তাই আরও ভয়ঙ্কর সময়ের সতর্কবার্তা দিলেন হু-র প্রধান।